ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

রাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রদল, হাতাহাতি

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম রাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রদল, হাতাহাতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভোটার তালিকায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে মুখে পড়েছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা। এ সময় দফায় দফায় উভয় পক্ষের মাঝে স্লোগান-পালটা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়েছে। দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের মাঝে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদল। কর্মসূচিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। তাদের বাধায় নির্বাচন কমিশন আজকে শেষ দিনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে গত কয়েকদিন কর্মসূচি পালন করছে। আজ মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিনে সকাল ৯টা থেকে কর্মসূচি শুরু করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারা রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তারা কার্যালয়ের ভেতরে থাকা কয়েকটি চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে মনোনয়ন ফরম তুলতে আসেন সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারসহ কয়েকজন। তারা ছাত্রদল নেতাদের তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তাদেরকে ছাত্রদল নেতারা বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে সেখানে উপস্থিত হন সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলামসহ কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশী। পরে তাদের প্রতিরোধধের মুখে শাখা ছাত্রদল। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে কয়েক দফায় ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমরা বৈঠকে বসছি। ছাত্রদলের দাবি-দাওয়াগুলো আমরা মেনে নিয়েছি। তারা এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছে। এখন যে দাবিতে তারা আন্দোলন করছে, কিছুদিন আগেও তাদের এমন দাবি ছিল না। তারা রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে চেয়ার-টেবিল ওলট-পালট করে ফেলে গেট আটকে রেখেছে। তাদের আরও দাবি-দাওয়া থাকলে সেটা স্মারকলিপি দিয়ে আমাদের কাছে পেশ করবে কিন্তু তারা যেটা ঘটিয়েছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এছাড়া আমরা লক্ষ্য করেছি, তাদের এই কর্মসূচিতে কিছু শিক্ষকও বক্তব্য রেখেছেন। যাদের মধ্যে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তাও ছিলেন, যিনি নির্বাচনের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট পার্সন ছিলেন, তিনিও সেখান বক্তব্য রেখেছেন। এটা কোন ভাষায় ব্যক্ত করবো আমার জানা নেই।

Side banner