ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

দ্রুত বিচার শেষ করতে বাড়তে পারে ট্রাইব্যুনাল সংখ্যা : আসিফ নজরুল

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৫১ পিএম দ্রুত বিচার শেষ করতে বাড়তে পারে ট্রাইব্যুনাল সংখ্যা : আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

জুলাই হত্যার বিচার দ্রুত করতে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই হত্যার বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠিত হবে পারে। দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। ২০২৪ সালের সরকার জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বিচারের গতি সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। ট্রাইব্যুনাল-২-এর মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন তারা। মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের সময় তাদের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা ছিলেন।

এদিকে জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-১-এ তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। এ মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন ও রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

Side banner