বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৪৫-এ পা দিয়েছে। নিকট-অতীতে সংগঠনটি বিএনপির আন্দোলনের অন্যতম ‘ভ্যানগার্ড’ বিবেচিত হলেও সময়ের ব্যবধানে পুরনো ‘সম্মান’ ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে নতুন নেতৃত্ব। বরং দিনে-দিনে ‘নিধিরাম সর্দার’-এ রূপ নিতে চলেছে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদল। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কারও-কারও মতে, ‘শ্রাবণ-জুয়েলে’ ডুবছে ছাত্রদল।
অথচ সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত বছরের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা দিয়ে নতুন নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক প্রত্যাশা করেছিলেন। প্রত্যাশাপূরণ তো দূরের কথা, বরং শ্রাবন-জুয়েলের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলে খোদ তারেক রহমানেরই অনেক কঠোর নির্দেশনা দফায়-দফায় উপেক্ষিত হয়েছে। দুই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে প্রায়-প্রতিদিনই প্রমাণসহ অভিযোগ যাচ্ছে তারেক রহমানের কাছে। কোনও-কোনও জ্যেষ্ঠ নেতা শ্রাবণ-জুয়েল কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের কাছে অনুরোধও জানিয়েছেন।
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কমিটি বাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তারে নিজ অঞ্চলের লোকদের বিভিন্ন ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলে বরিশাল বিভাগের ‘অতি-আধিক্য’। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পেয়ে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রনেতারা। তার কারণেই ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রদল ‘আউট হয়েছে’-এমন কথা এখন ছাত্রদলের প্রায় সর্বমহলে আলোচিত। জুয়েলের বিরুদ্ধে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক সিনিয়র নেতারা ‘ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের’ অভিযোগও করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। অভিযোগগুলো তারেক রহমান আমলে নিয়েছেন বলে লন্ডন বিএনপির একাধিক সূত্র দাবি করেছে।
ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণের আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে এখনও বিব্রত দলের হাইকমান্ড। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই ভিডিও বুয়েটের এক শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ওই শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন, ভিডিওটি এডিটিং করা নয়। শ্রাবণ দায়িত্বশীল পদে থেকেও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের গালাগাল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার অশ্রাব্য ভাষায় বিব্রত হন নেতাকর্মীরা। শুধু পদ-পদবী হারানোর ভয়ে প্রতিবাদ করছেন না কেউ। কিন্তু এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী নেতারা।
জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করেন। এতে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে জড়িত পরিবারের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি ও আওয়ামী পরিবারের আরেক সন্তান সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পরই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও যোগ্যদের বাদ দিয়ে নিজেদের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ঘোষণা করে।
সারাদেশের ইউনিট কমিটিতে স্থান পাওয়াদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘আর্থিক লেনদেন’কে প্রাধান্য দিতে গিয়েই ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে বিবাহিত, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীর সংখ্যাটাই বেশি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব বলয়ে রাজনীতি করে বিবাহিত, অপহরণ ও মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলার আসামিরাও কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। প্রাধান্য পেয়েছেন বরিশাল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতাকর্মীরা। ৩০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৪৫ জনের বেশি আছেন বিবাহিত। ছাত্রজীবন শেষ করে অনেকেই চাকরি করছেন। অছাত্র, বিবাহিত, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ অসংখ্য অসামঞ্জস্য দিয়েই গঠিত হয়েছে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। শুধু তাই নয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের কমিটিতে পদায়ন পাওয়া এমন ৫৭ জনের একটি তালিকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর (কারাগারে যাওয়ার পূর্বে) বরাবর প্রেরণ করেছেন পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। তখন প্রাথমিক অবস্থায় অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩২ জনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিতও করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবই জানেন। তার সাথে আলোচনা করেই কমিটি চুড়ান্ত করা হয়।
তবে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ট লন্ডনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয় না। নিজের পছন্দের লোকের পক্ষে তথ্য তুলে ধরা হয়। পদবঞ্চিতদের বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয় না। এমনকী যে বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানেন না, সে বিষয়েও তাকে জড়ানো হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান করে পদবঞ্চিতরা মুখ- খোলেন না। তারা হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে নিজেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।
গত ১ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছাত্রসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ইউনিট মিছিল নিয়ে আসে। সঞ্চালক তাদের নাম বলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কিন্তু ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সম্পাদক মিছিল নিয়ে গেলে তার নাম বলা হয়নি। দেয়নি ধন্যবাদও। উল্টো সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বসতে বলেন। ছাত্রসমাবেশে সবার সামনে সভাপতির মুখে অকথ্য ভাষা শুনে বিব্রত হন ওই সম্পাদক।
ছাত্রদল ঢাবি ক্যাম্পাস আউট হওয়ার নেপথ্যে
সদ্য বিদায়ী বছরের ২৪ ও ২৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ হয়। ঠিক যখন ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে, তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি হওয়ার কথা। অপরদিকে তার কিছুদিন আগে ছাত্রদলের শ্রাবণ-জুয়েল কমিটি হয়। ছাত্রদলের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম আদনান আলম বাবু, তিনি সাইফ মাহমুদ জুয়েলের গ্রুপের বড় ভাই। একইসাথে তিনি ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন মামাতো ভাই। এর সুবাদে আদনান বাবু একজন তেলেসমাতিওয়ালা লোক। তিনি একই সাথে যেমন জয়কে দিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন, তেমনি নিজ সংগঠনের এবং নিজ গ্রুপের ছোট ভাই জুয়েলের কাছে ছাত্রদলের তদবির করছেন। আদনান বাবু এখন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার চেষ্টা করছেন।
আল নাহিয়ান খান জয়ের ছাত্রলীগের কমিটি যখন ভেঙে যাবে -যাবে অবস্থা, তখন তিনি আদনান বাবুর শরণাপন্ন হন বলে কথিত রয়েছে। অপরদিকে জুয়েল নতুন কমিটির পরে শো-আপ এবং হাইলাইটস হতে আগ্রহী ছিলেন। জয়ের কমিটি টিকিয়ে রাখা এবং সাইফ মাহমুদ জুয়েলের হাইলাইটস হওয়ার ধান্দার ফসল হলো ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের মূল কাহিনি। ঢাবি ক্যাম্পাসে যে প্রোগ্রামে জুয়েল শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য দেয়, তার আগের দিন আদনান বাবুর মধ্যস্থতায় ধানমন্ডি স্টার কাবাবের সামনে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে জয়-জুয়েল কমপক্ষে আধা ঘন্টার মত সময় নিয়ে কথা বলেন। ঠিক তার পরেরদিন জুয়েল বক্তব্য দেওয়ার পরে প্রথমে জয়ের অনুসারীরাই ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
ঘটনা যে জয়-জুয়েলের পরিকল্পিত তা আরো স্পষ্ট হয় যখন জুয়েল ক্যাম্পাসে নিজে হাতে বাঁশ নিয়ে ছাত্রলীগকে উসকে দেয়, যদিও দুই মিনিটের জন্য বাঁশ হাতে নিয়ে জুয়েল সেদিন ঢাবি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ জুয়েলের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে ছাত্রদল আজকে ক্যাম্পাস ছাড়া।
এদিকে, ছাত্রনেতাদের অভিযোগ ছাত্রদলকে বরিশাল সমিতি বানিয়েছে জুয়েল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা গেছে, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল : সভাপতি সাঈদুর রহমান (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন (পটুয়াখালী), সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান (বরিশাল)। ১৩ সদস্য আংশিক কমিটির ৮ জন বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম (বরিশাল), প্রচার সম্পাদক রুমি (বরিশাল)। ঢাকা মহানগর উত্তর : সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু (বরিশাল), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর বাবু (বরিশাল), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন (ভোলা)। ৭ সদস্য কমিটি, পরবর্তীতে দপ্তর সম্পাদক ও সহদপ্তর ঘোষণা করা হয়; তারমধ্যে দপ্তর সম্পাদকের বাড়িও বরিশাল।
ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল : সভাপতি আবুল কালাম নাসির (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ (বরিশাল)। ৭ সদস্য কমিটিতে পরে দপ্তর, সহ-দপ্তর করা হয়েছে; তাদের বাড়ি (ভোলা)। বাঙলা কলেজ ছাত্রদল: সভাপত ইব্রাহিম বিপ্লব (পটুয়াখালী), সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সোহাগ (বরগুনা), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সর্দার মিলন (বরিশাল)। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির ৯ জনই বৃহত্তর বরিশালের। ঢাকা কলেজ ছাত্রদল: সাধারণ সম্পাদক মৃধা জুলহাস (পটুয়াখালী)।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল: সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ (পিরোজপুর), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (গৌরনদী-বরিশাল) তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল: সিনিয়র সহ সভাপতি শামীম পালোয়ান (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক বেলাল খান (বরিশাল)। এই আংশিক কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ হয়। সেই পুর্ণাঙ্গ কমিটিতে বরিশালের আরো অনেকেই পদ পান। এছাড়াও ছাত্রদলের ৩০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে জুয়েলের মনোনীত ১২৭ জনই বরিশালের বলে ছাত্রনেতারা জানান।
জুয়েল শুধু সাংগঠনিক বিষয়ে নয়, বিএনপির সিনিয়রদের সাথেও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মতে, একটি সংগঠন থেকে একজন করে বক্তব্যে দেওয়ার সুযোগ পাবে। ছাত্রদলও এর ব্যতিক্রম নয়। এই হিসেবে ছাত্রদল সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। তখন বক্তব্যে দিতে না পেরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল গণসমাবেশের সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যায়। তখন মঞ্চে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিব্রত বোধ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের এমন আচরণে।
এরপর গত ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। এতে সমাবেশের পরিবেশের ছন্দপতন ঘটে। তার এমন ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কৃষকদলের সভাপতিসহ উপস্থিত কৃষকদল নেতারা। কৃষকদলের নেতাকর্মীরা পাল্টা জবাব দিতে চাইলে তুহিন সবাইকে অনুরোধ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ নিয়ে কৃষকদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আমরা শুধু ঢাকা শহরের কমিটি দিয়েছি। এসব কমিটিতে বাণিজ্য করার সুযোগ নেই। কমিটিগুলোতে বরিশালের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কমিটিতে পদ দেওয়ার সময় আঞ্চলিকতা দেখা হয় না। যোগ্যতা অনুযায়ী পদ পেয়ে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ঢাকার কমিটিতে যারা নেতা হয়েছেন তারা টাকা পাবে কোথায়? আর কমিটি বাণিজ্য করা হয়নি। যোগ্যতা যাচাই করে পদ দেওয়া হয়েছে। বরিশালে বাড়ি বলে বিবেচনা করি নাই। আর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাকে ঘিরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। ###
আপনার মতামত লিখুন :