ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়

দৈনিক নতুন সংবাদ | নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১, ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে মিল রেখে মূল্য সমন্বয় হবে। রোববার সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। বৈঠকে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যাপারে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চায় সংস্থাটি। এর জবাবে একটি ফর্মুলার ভিত্তিতে মূল্য সমন্বয় ছাড়াও সংস্থাকে জানানো হয় যে, এখন থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মূল্য সমন্বয়ের নয়া ফর্মূুলায় বিশ্ববাজার থেকে ভোক্তা পর্যন্ত জ্বালানি তেল পৌঁছতে বিভিন্ন ধাপে খরচ বের করা হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে মূল্য সংযোজন কর, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যয় এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা। এসব উপকরণ যোগ করে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিশ্ববাজারে বেড়ে গেলে দেশে বাড়ানো হবে এবং বিশ্ববাজারে কমলে দাম কমানো হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস অন্তর পর্যালোচনা করে তা সমন্বয় করা হবে। এতে বিশ্ববাজারের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজার মূল্যের একটি ঘনিষ্ঠতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আইএমএফের ঋণের শর্তে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে একটি ফর্মুলা ঠিক করে দেওয়ার কথা আছে। যার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে লিংক হবে। এই ফর্মুলায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মূল্য, মুদ্রা বিনিময় হার, কর, ডিলার কমিশন অর্থাৎ ভোক্তার কাছে পেট্রোলিয়াম পণ্য পৌঁছানোর খরচ এবং বিপিসির রির্টান যুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, এই ফর্মুলা বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাজারে ঘন ঘন জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরকারের বাজেটে এসে পড়া থেকে মুক্ত হবে। বাজেটের ওপর চাপ থাকবে না। যেহেতু তেলের ভর্তুকির প্রশ্ন উঠবে না, তাই সে টাকা অন্য কোথাও ব্যয় করা যাবে। আবার বিশ্ববাজারে মূল্য কমার সুবিধা ক্রেতারা সরাসরি পাবেন এবং বৃদ্ধি পেলে ক্রেতা সাশ্রয়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের বিপরীতে আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হচ্ছে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনা। জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। এতে মূল্য জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। সেই শর্ত পূরণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।###

Side banner