ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

আবারও আশুলিয়ায় ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

দৈনিক নতুন সংবাদ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম আবারও আশুলিয়ায় ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

ঢাকার আশুলিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে টানা শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কারখানা খুলে দেওয়া হয়। তবে রবিবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় ৩০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। তবে অন্যদিনের মতো রবিবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বা ভাঙচুর করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। এদিকে, পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে সন্দেহভাজন আরও চার জনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। 

শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় দল বেঁধে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানাসহ ৩০টি কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা প্রবেশ করে বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে তারা বাড়ি ফিরে যান। যদিও কারখানায় হামলা, ভাঙচুর কিংবা সড়ক অবরোধের কোনও সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শনিবার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক করা হয় কয়েকজনকে। তারা হলেন– পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার মোতালেব হোসেন (২৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার সেলিম রেজা (২১), ভোলার চরফ্যাশন থানার মো. রাসেল (২৩) এবং নওগাঁর আত্রাই থানার লিটন কুমার দাস (২৩)। তারা সবাই আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার হামীম গ্রুপের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নাসা গ্রুপে অসন্তোষ চলে আসলেও আজ উৎপাদন চালু আছে। তবে নিউ এইজ ও আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজ যোগ না দেওয়ায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘শ্রমিকরা সকালে কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দিলেও সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন। ৩০টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের পর সাধারণ ছুটি দিলে শ্রমিকরা বাসায় ফিরে যান। হামীম গ্রপের পোশাক কারখানায় এখনও শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাবিদাওয়া নিয়ে ম্যানেজমেন্ট সমাধান করতে না পারায়, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে জড়িত সন্দেহে গতকাল চার জনকে আটক করা হয়েছে।’

এ ছাড়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব এবং শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছের বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Side banner