আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না তা বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়, জনগণ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না তা বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়, নির্বাচন কমিশন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে। আমরা বিএনপি হিসেবে তো, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব ইতোমধ্যেই তো বলছেন, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচন করবে কি করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য।'
শুক্রবার (৯ মে) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
কার্টার সেন্টারের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট।
মঈন খান বলেন, 'আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, তাদেরকে গ্রহণ করা হবে কি না, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না। এটা আওয়ামী লীগকে জিজ্ঞাসা করেন। তারা কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? এটা তো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে।'
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, 'আজকে পর্যন্ত ৯ মাস চলে গেছে, একজন আওয়ামী লীগকে দেখাতে পারবেন যে, তারা বলছেন- দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই মানুষের উপর তারা জুলুম করেছে, ফ্যাসিস্ট কায়দায় এদেশকে তছনছ করে দিয়েছে, লুটপাট করে নিয়েছে! তারা ভুল করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা স্বীকার করেছে! তারা জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচন করতে চায়, আওয়ামী লীগের একটি লোক কি তা বলেছেন? বলেনি। তাই এই প্রশ্ন আমাদের করার প্রয়োজন নেই। এর উত্তর দেশের ১৮ কোটি মানুষ জানে।'
বৈঠক প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, 'দুটি বিষয় নিয়ে মূলত কথা বলেছেন, একটি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সার্বিক পরিস্থিতি। নির্দিষ্টভাবে তারা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন, নির্বাচনে তারা হয়তো মনিটরিং করতে আসতে পারেন।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, 'বিএনপি কখন নির্বাচন প্রত্যাশা করছে, এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য তো স্পষ্ট, এ বছরের শেষে দিকে যদি নির্বাচন হয় সেটা জনগণের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে।' ###
আপনার মতামত লিখুন :