ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনও শাহবাগে অবরোধকারীরা

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ আগস্ট ১, ২০২৫, ০১:৫০ পিএম জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনও শাহবাগে অবরোধকারীরা

জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে  শুক্রবার (১ আগস্ট) অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শাহবাগে অবরোধ চলছে। আজকেও শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার  (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের (আহত) ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বৃষ্টির মধ্যেও তাঁরা সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন। একইসঙ্গে সড়কের চারদিকে তাঁরা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। এ কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

অবরোধকারীরা জানান, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এ দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সারা রাত শাহবাগে সড়কে অবস্থান করেছেন অবরোধকারীরা। শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছেন। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁদের সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ জুলাই যোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, জুলাই সনদ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান এবং এ কর্মসূচি ঘিরে মানুষের ভোগান্তি লক্ষ্য করা যায়।

শুক্রবার (১আগস্ট) ছুটির দিনেও সড়কে কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ কম । তবে যানবাহন না পেয়ে ওই সড়কে চলাচলকারীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন।

অবরোধকারীদের দাবি:

অবরোধকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি; শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়া; শহীদ পরিবার ও আহতদের দায়িত্ব গ্রহণ করা; আহতদের সব চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমূলক ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করা; আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা; শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বিশেষ আইনি সুরক্ষা ও সহায়তাকেন্দ্র গঠন করা; শহীদ ও আহতদের ওপর সংঘটিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করা। ###

Side banner