বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, পিআর কী? এটা খায় না গায়ে দেয় তা অনেকে জানে না। পিআর পদ্ধতি মানে আপনি নোয়াখালীতে ভোট দেবেন এমপি হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বা উত্তর বঙ্গের কোনো নেতা। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন মানে একটা ধোঁকাবাজি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, জামায়াতসহ কিছু দল পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়। কারণ তারা জনগণের কী হবে সেটা ভাবে না। আপনি এলাকার যাকে ভোট দেবেন, তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে আপনার সুখে-দুঃখে থাকবে, বিপদে আপদে তার সহযোগিতা পাবেন। সুতরাং জনগণ পিআর নয়, প্রত্যক্ষ ভোটে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়।
জামায়াতে ইসলামী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলাম ও আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেইমানি করেছে। স্বৈরশাসক এরশাদের সঙ্গে নির্বাচন করে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত পেয়েছিল ৪ সিট। জামায়াত ইসলাম ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ওই সময় ৩০ লাখ মানুষে হত্যা ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুটেছিল।
আওয়ামী লীগের কোনো সেক্টর কমান্ডার নেই উল্লেখ করে বুলু বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। ১৯৭৭ সালে ওয়াইসি সম্মেলনে গিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১৯টি দেশে শ্রমবাজার সৃষ্টি করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮০ সালে সাড়ে ৫শ গার্মেন্টস শিল্প অনুমোদন দিয়ে মা-বোনদের স্বচ্ছলতার পথ দেখিয়েছেন। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী অবিভক্ত ভারত বর্ষের জহর লাল নেহেরুকে ভোট দিয়ে পাকিস্তানকে ভোট না দিয়ে গান্ধিজি জিন্নাহসহ প্রগতিশীল নেতাদের নাস্তিক বলেছে। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে প্রবেশ করালে শহীদ জিয়া নিহত হন ৩০ মে। সমগ্র ঢাকা জানাজার শহরে পরিণত হয়। এতে দেখে মনে হয়েছিল তিনি খাঁটি মুসলমান ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ৪টি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে রাজা হয়ে যান। তার মেয়ে একটি দেশে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৮০ সিট পেয়ে সরকার গঠন করবে।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্য সচিব হারুন উর রশিদ আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাক্ষা চন্দ্র দাস, সদস্য সচিব মাহফুজুল হক আবেদ, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জহির উদ্দিন হারুন, সদস্য সচিব মহসিন আলমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :