কুড়িগ্রামের উলিপুরে সেতু দেবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেছে ২০ থেকে ২৫ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সেতুটির নিচ থেকে মাটি ধসে যাওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের রুপার খামারে বামনি নদীর ওপর নির্মিত এলাকায়। সেতুর নিচ থেকে মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুটি দেবে যায়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রুপার খামার শোলেয়ারজাম এলাকায় মিনাবাজার হইতে মাঝবিল রাস্তায় মোহাম্মদ আলী মাস্টারের বাড়ির পূর্বে বামনি নদীর ওপর ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৯২০ টাকা ব্যয়ে ৩৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নদীটি খনন ও প্রবল বৃষ্টির কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের মাথায় উইংওয়ালের মাটি সরে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সেতুটি তলেদেশ দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হলে ব্রিজটি দেবে যায়। এতে ভোগান্তিতে পরেন ধরনীবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২০ থেকে ২৫ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
স্থানীয় ইসলাম উদ্দিন নামে একজন বলেন, ব্রিজটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রুপারখামার, বাড়াইপাড়া, হাজী পাড়া, জানজায়গীর, মধুপুর দালালীপাড়া, নেললিপাড়া, কামালখামার ও কেকতির পাড়সহ ২০ থেকে ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
আসাদুল হাবিব নামে একজন বলেন, ‘আমি প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে বাজারে যাই। ভয় লাগে কখন আবার সেতু থেকে পরে যাই। তাই সরকারের কাছে দাবি সেতুটি যেন ভালো করি দেয়।’
শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন, আলামিন, জনি, মোছা. কাকলি আক্তারসহ অনেকেই জানায়, সেতুটি দেবে যাওয়ায় স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় অটোরিকশা ও বাইসাইকেলে করে যেতাম। এখন সেতুটির ওপর দিয়ে যান চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই হেঁটে যেতে হয়।
ধরনী বাড়ি ইউনিয়নের মাঝবিল এলাকার রফিকুল ইসলাম (৫৭) ও আব্দুল আজিজ (৭২) বলেন, আমাদের খুব কষ্ট হইছে কৃষি জমি সেতুর ওপার হওয়ায় সার, তেলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যেতাম অটোরিকসা বা অটোতে করে। এখন ঘারে করে নিয়ে যেতে হয়। এতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) খন্দকার মো. ফিজানুর রহমান বলেন, নদীটি অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় এ ঘটনা ঘটছে। সেতুটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :