শিক্ষাবর্ষের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ৫৪ জন শিক্ষার্থী এখনও বাংলা বই হাতে পায়নি। বিদ্যালয়টিতে ইতোমধ্যেই অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হয়ে গেছে, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা কড়া নাড়ছে। কিন্তু বই বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা পুরোনো বই নিয়ে ক্লাস করছে।
বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, বছরের শুরু থেকে স্যার-ম্যাডামদের বলেছি, কিন্তু কেউ কিছু করেনি। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি বই ছাড়াই। এখন বার্ষিক পরীক্ষা, তাও বই নেই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দ্র শেখর সরকার বলেন,“সপ্তম শ্রেণির শুধু বাংলা বই বাকি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ‘দেই-দিচ্ছি’ বলে কালক্ষেপণ করেছে। অন্য সব শ্রেণির বই আমরা সময়মতো বিতরণ করেছি।”
তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি প্রথম শুনলাম। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ বা চাহিদা দেয়নি। জানুয়ারিতেই উপজেলায় বই বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে, এমনকি ওই বিদ্যালয়ের গুদামেও বই ছিল। সবাই বই পেলে তারা কেন পাবে না তা তাদেরই জিজ্ঞাসা করা উচিত।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগের ঘাটতির কারণেই শিক্ষার্থীরা বই থেকে বঞ্চিত। এটি শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতার স্পষ্ট দৃষ্টান্ত।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও উপজেলার নতুনপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বছরের শেষ প্রান্তে এসে বইহীন শিক্ষার্থী! এটি চরম দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।
বিদ্যালয়ের এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
আপনার মতামত লিখুন :