ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

জাকসুর ভিপি জিতুকে নিয়ে গর্বিত স্বজন-এলাকাবাসী

দৈনিক নতুন সংবাদ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:২৫ পিএম জাকসুর ভিপি জিতুকে নিয়ে গর্বিত স্বজন-এলাকাবাসী

জয়ন্তী নদীর পাড়ের ছোট্ট একটি গ্রাম ছৈয়াল পাড়া। এখানেই জন্ম আব্দুর রশিদ জিতুর। কৃষক পরিবারের মেধাবী সন্তান এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন।

জিতুর এই বিজয়ে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।

জানা যায়, মো. আলী আশরাফ ছৈয়াল ও মাজেদা বেগম দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে জিতু পঞ্চম। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি, অষ্টম শ্রেণিতেও বৃত্তি পেয়েছেন।

এলাকার ব্র্যাক স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ২০১৪ সালে কোদালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। পরে ভর্তি হন গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজে। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে ৪৭তম ব্যাচে ভর্তি হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি যুক্ত ছিলেন নানা সামাজিক ও সেবামূলক কার্যক্রমে। তারই ফলাফল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তিনি ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

জিতুর মা মাজেদা বেগম বলেন, ছোট থেকেই ও খুব দয়ালু ছিল। মানুষকে সাহায্য করতেই ভালোবাসত। ওর প্রতি সবার ভালোবাসার কারণেই আজ সে নির্বাচনে জিতেছে। আমি ওর এবং তার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর জন্য দোয়া করি।

জিতুর বড় বোন নিগার সুলতানা বলেন, জিতু ছোটবেলা থেকেই পরোপকারী। সবাইকে আপন করে নিতে পারে বলেই সে এই অবস্থানে পৌঁছেছে। যারা ওকে ভোট দিয়েছেন, আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জানে আলম, রবিউল ইসলাম ও সহপাঠী মো. শাকিল বলেন, জাকসুর মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমাদের গ্রামের একজন ছেলেকে ভিপি হিসেবে দেখতে পারা সত্যিই গর্বের।

কোদালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম বলেন, জিতু আমার ছাত্র ছিল। সে খুবই মেধাবী এবং সামাজিক কাজে সবসময় এগিয়ে ছিল। জাকসুতে জেতার খবরে আমি খুব গর্বিত। আশা করি, সে ভবিষ্যতেও ভালো কিছু করবে।

গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. কামাল হোসেন বলেন, জিতুর নেতৃত্বগুণ ও সমাজসেবামূলক মনোভাব আমরা কলেজ থেকেই দেখে এসেছি। তার এই অর্জন আমাদের গর্বিত করেছে।

Side banner