ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পুঁজিবাজারে ১৩ কার্যদিবসে সর্বনিম্ন লেনদেন

দৈনিক নতুন সংবাদ ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম পুঁজিবাজারে ১৩ কার্যদিবসে সর্বনিম্ন লেনদেন

দরপতনের বৃত্তেই আটকে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৪ ডিসেম্বর) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামপতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।

 

অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটি কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে ডিএসইতে বড় দরপতন হয়। তবে তৃতীয় কার্যদিবসে এসে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ফের দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখি দেখা যায়। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই বদলে যায় বাজারের চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসইর লেনদেনে সব খাত মিলিয়ে অংশ নেওয়া ৩৮৫টি শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩৪ প্রতিষ্ঠান, বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৭টির। এছাড়া ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৬৮টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৭টির দাম কমেছে এবং ৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১৭ নভেম্বরের পর বা ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে আজ সবচেয়ে কম লেনদেন হলো।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার।

Side banner