মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত বাস, মাইক্রোবাস, অটো-টেম্পো ওনার্স গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেছেন- আওয়ামী লীগ আমলে চাঁদাবাজির ‘কারখানা’ হিসেবে পরিচিত ছিল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। এখন মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডকে চাঁদামুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন বিএনপি ও পরিবহণ সংশ্লিষ্ট নেতারা।
জানা গেছে, এক সময় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় হতো পরিবহণ থেকে। সেই টাকা চলে যেত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার দোসরদের হাতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতো সাধারণ পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা, দুর্ভোগ পোহাত যাত্রীরা। কিন্তু এখন দৃশ্যপট বদলে গেছে। পরিবহণ থেকে রাজনীতিবিদদের নামে টাকা তোলা হয় না। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চাঁদামুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক লিটন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতার নেতৃত্বে মালিক-শ্রমিকরা একাট্টা হয়ে অঙ্গিকার করেছেন আগামীতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে কোনো চাঁদাবাজির ঠাঁই নেই। কোনো চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেটি হয়েছে সেটি আর মানিকগঞ্জে পুনরাবৃত্তি হবে না। চাঁদাবাজি নয়, এখন যাত্রীসেবার মানোন্নয়নই আমাদের রাজনীতি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বার্ষিক সাধারণ সভায় জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আ. রাজ্জাক লিটনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ যাদু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল কাদের, জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পীর বাবুল হোসেন, জেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিহাব উদ্দিন আহমেদ সুমন, সদর উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সাটুরিয়া উপজেলার শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :