ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বিজিবি-বিএসএফ

দৈনিক নতুন সংবাদ অক্টোবর ১, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বিজিবি-বিএসএফ

বাবা থাকেন ভারতে। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মেয়ে বসবাস করেন বাংলাদেশে। দুজনের বসবাস দুই দেশে হওয়ায় বাবাকে শেষবারের মতো দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। কিন্তু, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মানবিকতায় পূরণ হলো মেয়ের আবদার। শূন্য রেখায় বাবার মরদেহ এনে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেলেন মিতু মন্ডল (৩৮)।

 

বুধবার (১ অক্টোবর) যশোরের শার্শা সীমান্তে এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষি হলো স্থানীয়রা। এমন কর্মকাণ্ডে প্রশংসায় ভাসছেন বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা। মিতু মন্ডল শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোড়াবাড়ী গ্রামের বাবলু মন্ডলের স্ত্রী।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামে ভারতীয় নাগরিক জব্বার মন্ডল (৭৫) বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মারা যান। তার মেয়ে মিতু মন্ডল স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশের যশোরের শার্শার পোড়াবাড়ী গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি শেষবারের মতো তার মুখটি দেখার জন্য বিজিবির কাছে আকুতি জানান।

অপরদিকে, জব্বার মন্ডলের মৃতদেহ বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের দেখানোর জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এবং ৬৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তত্বাবধানে সীমান্ত মেইন পিলার ২৫/৬-এসের নিকট শূন্য রেখায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৃতদেহ স্বজনদের স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরে লাশ দাফনের উদ্দেশে ভারতে ফেরত নেওয়া হয় এবং বাংলাদেশি স্বজনরা তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যান।

৪৯ বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, এটি একটি মানবিক কাজ। এ ধরনের কার্যক্রম শুধু দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করে না, বরং সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের মধ্যেও আস্থা তৈরি করে। বিজিবি সবসময় সীমান্তের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

Side banner