কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদ দিয়ে ভারত থেকে ভেসে এসেছে একটি মৃত গন্ডার। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে পাহাড় ধস ও বনাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় দুধকুমার নদ দিয়ে গাছের গুঁড়ি, মরা গরু, সাপ ও মাছ ভেসে আসে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একটি মৃত গন্ডার ভেসে আসে। ভেসে আসা মৃত গন্ডারটি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামের দুধকুমার নদের চরে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, গন্ডারের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার পনিতে ডুবে মারা গছে এবং ভেসে এই চরে আটকে গেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা মৃত গন্ডারটিকে দেখতে পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন।
পরে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা (সামাজিক বনায়ন) সাদিকুর রহমান, যমুনা সেতু আঞ্চলিক যাদু ঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা, উপজেলা বন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম বলেন, গন্ডারটি বড় ও ভারী হওয়ায় অন্যত্র সড়ানো সম্ভব নয়। তাই ইউপি চেয়ারম্যানকে ওখানেই গর্ত করে পুঁতে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া যাদুঘরের লোকজন এসেছেন তারা এর হাড়গোড় সংগ্রহ করবেন।
যমুনা সেতু আঞ্চলিক যাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা জানান, খবর পেয়ে তারা এখানে এসেছেন। গন্ডারটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। দুই মাস সময় লাগবে এর দেহ পচন ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। পচন ক্রিয়া শেষ হলে হাড়গোড় সংগ্রহ করে যমুনা সেতু আঞ্চলিক যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এসব শিক্ষা ও গবেষণা কাজে ব্যবহার হবে।
আপনার মতামত লিখুন :