ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

সমন্বয়ের ঘাটতি না কাটলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটবে না : মঞ্জু

দৈনিক নতুন সংবাদ সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম সমন্বয়ের ঘাটতি না কাটলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটবে না : মঞ্জু

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সরকারের কার্যক্রমে সমন্বয় ও দৃঢ়তার ব্যাপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এই ঘাটতি দূর না হলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় আছে, তা কাটবে না।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে এবি পার্টিসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মঞ্জু।

মঞ্জু বলেন, সম্প্রতি সরকারের কার্যক্রমে সমন্বয় ও দৃঢ়তার খুব অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলা এবং চট্টগ্রামের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি স্পষ্ট। এটি যদি দূর না হয় এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও দৃঢ়তা যদি না বাড়ে, তাহলে নির্বাচন নিয়ে আমরা যে সংশয় দেখতে পাচ্ছি, তা কাটবে না।

তিনি আরও বলেন, পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটায় সরকারের কর্তৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছি, তিনি যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে নিয়ে আলাদাভাবে শীর্ষ থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত একটি সমন্বিত বৈঠক করেন।

মঞ্জু জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সমন্বিত কমিটি করার কথা বলেছেন। এতে স্থানীয়ভাবে আসনকেন্দ্রিক সমস্যাগুলো সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বাড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব কিছুটা সহজ হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন— নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছে এমন লোক নির্বাচন কমিশনে নেই। কারণ বিগত তিনটি নির্বাচন ছিল বৈষম্যমূলক ও প্রশ্নবিদ্ধ। এ প্রসঙ্গে আমরা অনুরোধ করেছি, অতীতে যারা নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করেছেন, এমন সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বা আমলাতন্ত্রের বাইরের বিশেষজ্ঞদেরও যেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে কাজ করানো হয়।

মঞ্জু বলেন, প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে লটারি ব্যবস্থার ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে এবি পার্টি পরামর্শ দিয়েছে। আমরা বলেছি, লটারি সিস্টেম না করে বরং কোথায় কেমন ঝুঁকি আছে, কোন জেলায় বা উপজেলায় কী অবস্থা— সেটি বিবেচনা করে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সবশেষে তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা কেউ তিন-চার মিনিটের বেশি কথা বলার সুযোগ পাইনি। তাই এখানে ৩০ মিনিটের বেশি কথা বলার কোনো মানে হয় না।

Side banner