কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের হাওড়ে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের সময় পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) কুমিল্লার বরুড়ায় মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদনগরে খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরুড়ার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দুপুরে দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়। তারা হলো- ওই গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)। উভয়ে বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। হালকা বৃষ্টির মধ্যে কয়েকটি শিশু মাঠে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনজন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরুড়া থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, হাসপাতাল থেকে দুজনের লাশ বাড়িয়ে নিয়ে গেছে স্বজনেরা। অপর দিকে মুরাদনগরে খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতের পর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন- কোরবানপুরের নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩০) মারা গেছেন।
কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের হাওড়ে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের সময় পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ও খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন এবং মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ হাওড় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩০), খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৪৫)।
অষ্টগ্রাম থানার ওসি রুহুল আমিন ও মিঠামইন থানার ওসি মো. শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, ইন্দ্রজিৎ দাস সকালে হালালপুর গ্রামের পাশে হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। একই সময় খয়েরপুরের হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান স্বাধীন মিয়া।
অপরদিকে সকালে ফুলেছা বেগম মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের বাড়ির পাশে ধানের খলায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান। ###
আপনার মতামত লিখুন :