ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

দেড় মাস পর জনসম্মুখে জামায়াত আমির, সৃষ্টিকর্তাকে জানালেন কৃতজ্ঞতা

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম দেড় মাস পর জনসম্মুখে জামায়াত আমির, সৃষ্টিকর্তাকে জানালেন কৃতজ্ঞতা

অসুস্থতার পর প্রায় দীর্ঘ দেড় মাস পর জনসম্মুখে এসে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থ হয়ে আবারও জনসম্মুখে এসে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-১০ আসনের কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় পর মিডিয়ার সামনে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। 

জামায়াত আমির বলেন, আল্লাহ তৌফিক না দিলে আমি আজ এখানে এসে কথা বলতে পারতাম না। এই সময়টা আমার মনে হয়েছে জাতিকে কিছু বলার দায়িত্ব আমার। আমার দায়িত্ব অন্য কেউ পালন করার আর সুযোগ নেই। তাই আমি আল্লাহর দরবারে তৌফিক কামনা করেছিলাম—যেন অন্তত সেই কথাগুলো বলতে পারি, যা মানুষের কল্যাণের জন্য জরুরি। আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়েছেন।

নিজের অসুস্থতার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সমাবেশের দিন আমি যখন পড়ে যাই, তখন দেশের মানুষ টিভি স্ক্রিন কিংবা হাতে মোবাইলের মাধ্যমে তা দেখছিলেন। তাদের মধ্যে ইউনাইটেড হসপিটালের খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মমিনুজ্জামানও ছিলেন। তিনি তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আমার সমস্যাটা মস্তিষ্কজনিত নয়, বরং হৃদ্‌যন্ত্রে হতে পারে। পরবর্তীতে তাঁর আহ্বানে আমি চিকিৎসা নিই।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়। তারা হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক শনাক্ত করেন এবং ঝুঁকি বিবেচনায় তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক কিংবা আমেরিকার মতো দেশের নাম বলেছিলেন। আমি তাদের আন্তরিক পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞ। তবে আমি জিজ্ঞেস করলাম—আল্লাহ কি কেবল সেই দেশগুলোতেই আছেন? 

চিকিৎসকরা বললেন, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আমি তখন বললাম, আল্লাহ যদি সেখানে সুস্থ করতে পারেন, তবে তিনি চাইলে আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও আমাকে সুস্থ করতে পারেন।

তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সুস্থতা-অসুস্থতা কার হাতে—এক বাক্যে সবাই স্বীকার করেছেন, আল্লাহর হাতে। তাই আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহই আমাকে আবার জনসম্মুখে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ তৌফিক না দিলে আমি আজ এখানে এসে কথা বলতে পারতাম না। এই সময়টা আমার মনে হয়েছে জাতিকে কিছু বলার দায়িত্ব আমার। আমার দায়িত্ব অন্য কেউ পালন করার আর সুযোগ নেই। তাই আমি আল্লাহর দরবারে তৌফিক কামনা করেছিলাম—যেন অন্তত সেই কথাগুলো বলতে পারি, যা মানুষের কল্যাণের জন্য জরুরি। আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়েছেন।

নিজের অসুস্থতার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সমাবেশের দিন আমি যখন পড়ে যাই, তখন দেশের মানুষ টিভি স্ক্রিন কিংবা হাতে মোবাইলের মাধ্যমে তা দেখছিলেন। তাদের মধ্যে ইউনাইটেড হসপিটালের খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মমিনুজ্জামানও ছিলেন। তিনি তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আমার সমস্যাটা মস্তিষ্কজনিত নয়, বরং হৃদ্‌যন্ত্রে হতে পারে। পরবর্তীতে তাঁর আহ্বানে আমি চিকিৎসা নিই।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়। তারা হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক শনাক্ত করেন এবং ঝুঁকি বিবেচনায় তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক কিংবা আমেরিকার মতো দেশের নাম বলেছিলেন। আমি তাদের আন্তরিক পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞ। তবে আমি জিজ্ঞেস করলাম—আল্লাহ কি কেবল সেই দেশগুলোতেই আছেন? চিকিৎসকরা বললেন, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আমি তখন বললাম, আল্লাহ যদি সেখানে সুস্থ করতে পারেন, তবে তিনি চাইলে আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও আমাকে সুস্থ করতে পারেন।

তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সুস্থতা-অসুস্থতা কার হাতে—এক বাক্যে সবাই স্বীকার করেছেন, আল্লাহর হাতে। তাই আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহই আমাকে আবার জনসম্মুখে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীতে এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে হঠাৎ মঞ্চে পড়ে গেলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে ধরে বসান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আবার উঠে দাঁড়িয়ে মঞ্চে বসেই বক্তব্য চালিয়ে যান। সমাবেশ শেষে দ্রুত তাঁকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডা. শফিকুর রহমানের রক্তচাপ, গ্লুকোজ ও হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। মস্তিষ্কে কোনো জটিলতাও ধরা পড়েনি। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাঁকে সেদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

দীর্ঘ দেড় মাস পর আবার জনসম্মুখে ফিরে আসায় তাঁর সুস্থতা নিয়ে দলের ভেতরে স্বস্তি ফিরেছে। জামায়াত নেতারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জনসম্মুখে দেখা পাওয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্যও একটি ইতিবাচক বার্তা।

Side banner