ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

একইসঙ্গে চীনের ওপরেও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করতেও বলেছেন তিনি। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। কারণ এই অর্থ দিয়েই মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ট্রাম্প ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত “কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং” বৈঠকে ভিডিও কলে যোগ দেন। বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির পর কিয়েভকে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা জানান, “ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন, ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। কারণ শুধু এক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনে ১.১ বিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।”

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপ রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের জ্বালানি নির্ভরতা ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ ২০২২ সালে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও ২০২৩ সালে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করেছে। তবে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কয়েকটি দেশ এখনও সীমিত পরিমাণে ক্রুড তেল নিচ্ছে। এছাড়া ভারতসহ তৃতীয় দেশে রাশিয়ার তেল প্রক্রিয়াজাত করার পর ইউরোপে জ্বালানি পাঠানো হচ্ছে। ট্রাম্প আসলে কোন ধরনের আমদানিকে টার্গেট করেছেন, তা পরিষ্কার নয়।

কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রাম্প বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, “রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়নে চীনও ভূমিকা রাখছে, তাই তাদের ওপরও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।”

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনও বৈঠকে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, “‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর বৈঠক ছিল ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, ইউরোপীয়রা যদি এখনো রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখে, তবে তাদের আন্তরিকতা কোথায়? তিনি পরিষ্কার করেছেন, এটি তার যুদ্ধ নয়, ইউরোপীয়দেরই আরও দায়িত্ব নিতে হবে।”

ট্রাম্প এর আগে সতর্ক করেছিলেন, রাশিয়ার তেল কিনলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। তবে গত এপ্রিলে বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সময় মস্কোর ওপর সরাসরি কোনো শুল্ক আরোপ করেননি।

অন্যদিকে, ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবারচ (৪ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠাতে ২৬টি দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Side banner