বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন কিশোরীর মা।
বুধবার (২০ আগস্ট) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন- বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের মো. কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও বরগুনা সদর উপজেলার মনসাতলী গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে শামিম হোসেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিপি রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, বাদী আসামি শামিমের প্রতিবেশী। শামিমের ফুফাতো ভাই প্রধান আসামি নজরুল। নজরুল প্রায়ই শামিমের বাড়িতে বেড়াতে এসে বাদীর ঘরে যায়। বাদীর বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে শামিমের মাধ্যমে নজরুল বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বাদী সতিনের সংসারে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি নয়। চলতি ৯ আগস্ট বেলা ১১টায় আসামি শামিম বাদীর ঘর থেকে তার মেয়েকে ডেকে নেয়। এ সময় শামিমের স্ত্রী ঘরে ছিল না। শামিম কৌশলে ঘর থেকে অন্যত্র চলে যায়। আসামি নজরুল শামিমের ঘরে ছিল।
কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নজরুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরী তার ঘরে গিয়ে আকার ইঙ্গিতে তার মাকে বুঝাতে পেরেছে আসামি নজরুল তাকে ধর্ষণ করেছে। কিশোরীর মা সঙ্গে সঙ্গে শামিমের ঘরে গিয়ে নজরুল ও শামিমকে পায়। নজরুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১০ আগস্ট বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে নজরুল কিশোরীকে বিয়ে না করে পালিয়ে যায়।
বাদী বলেন, প্রতিবেশী শামিমের সহযোগিতায় আমার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নজরুল ধর্ষণ করেছে। আবার বিয়ের তারিখ দিয়ে নজরুল বিয়ে না করে পালিয়ে যায়। শামিমের কারণে নজরুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার সুযোগ পেয়েছে।
আসামি নজরুলের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ওসি মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, আদালতের আদেশ পেলে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করব।
আপনার মতামত লিখুন :