ঢাকা শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, উদ্ধার হলো দুই শিশুর মরদেহ

দৈনিক নতুন সংবাদ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০১:১৪ পিএম শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, উদ্ধার হলো দুই শিশুর মরদেহ

শেরপুরে পাহাড়ি এলাকার চারটি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। উজান থেকে পানির প্রবাহ কিছুটা কমলেও ভাটির অন্তত ১০টি নতুন গ্রাম এখনো প্লাবিত। এদিকে শেরপুর সদরের ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 


ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তীরবর্তী অন্তত ১৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। শুধু খৈলকুড়া বাজার এলাকাতেই বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পানির তীব্র স্রোতে ১২ থেকে ১৪টি ঘর মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মহারশি ও চেল্লাখালী নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নালিতাবাড়ীর বুরুঙ্গা ব্রিজ এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুন (১২) এবং তার চাচাতো ভাই আতিক হাসানের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রথমে জামালপুর থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয়। পরে রাতে স্থানীয়রা হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করে। একইদিন ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকায় নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইসমাইলের (১৭) মরদেহ শুক্রবার সকালে খৈলকুড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।


পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর অন্তত ১১৩ হেক্টর রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় কৃষক ও খামারিরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

শুক্রবার সকালে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বর্তমানে জেলার সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাটির এলাকার মানুষ এখনো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

Side banner