রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার পশ্চিম কোদালা গ্রামের কৃষক দিদার আলম (২৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ভুক্তভোগীর স্ত্রী কহিনুর আক্তারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট। তাদের মধ্যে তিনজন রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যদিও ভুক্তভোগীর দিদার আলমের মরদেহ এখন পর্যন্ত মেলেনি।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, পিবিআই তদন্তে পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে গাজীপুর জয়দেবপুর এলাকা থেকে ৪ অক্টোবর আব্দুল খালেক ও কহিনূর আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কহিনূর স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার অন্য প্রেমিক মো. হামজার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। খালেক ও হানজালার পরামর্শে কহিনূর ৩০ জুন রাতের এক সময়ে দিদার আলমকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ধান শুকানোর প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে পার্শ্ববর্তী কোদালা খালে ফেলে দেওয়া হয়। বৃষ্টির দিন হওয়ায় খালে স্রোত ছিল। একারণে ভুক্তভোগীর মরদেহও পাওয়া যায়নি।
কহিনূর আক্তারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১১ অক্টোবর মো. হামজা ওরফে হানজালা ও মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। ১১ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার ওমর ফারুক বলেন, দিদার আলম পেশায় কৃষক। তার স্ত্রীর সঙ্গে খালেক ও হানজালার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন কহিনূর। খালেকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দিদার আলম জানলেও হানজালার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি কেউ জানত না। প্রকৃতপক্ষে হানজালার সঙ্গে সম্পর্ক বেশি ছিল। দিদার আলম নিখোঁজের পর খালেককে সবাই সন্দেহ করে। এ কারণে খালেকের নামে মামলা হয়। তবে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও হত্যাকাণ্ডে খালেকের সম্পৃক্ততা এখনো পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :