Daily Natun Sangbad
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না, পরামর্শ ডিবি প্রধানের

দৈনিক নতুন সংবাদ | নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২, ২০২৩, ১০:৩০ পিএম ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না, পরামর্শ ডিবি প্রধানের

কেউ যদি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে কাউকে গাড়িতে উঠতে বলে, তাহলে সঙ্গে-সঙ্গে গাড়িতে না উঠার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, ডিবি বললেই আপনারা গাড়িতে উঠবেন না। প্রথমে তাদের পরিচয় জানবেন অথবা আপনাদের সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। যারা ডিবি অথবা অন্য যে কোনো সংস্থার নাম ব্যবহার করে অপরাধ করে আসছেন, আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। অনেকের নাম আমরা পেয়েছি, তাদের গ্রেফতার করব। তবে আপনাদেরও সচেতন থাকতে হবে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঢাকা মহানগরবাসীর জন্য এই পরামর্শ দেন। সম্প্রতি ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।

এর আগে গত রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে পাঁচজন ভুয়া ডিবি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পীযূষ কান্ত সুর (২৭), মো. হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি কালো রঙের নোয়া মাইক্রোবাস, একটি সাদা রঙের প্রবক্স প্রাইভেট কার, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের নোয়া গাড়ি তাঁর গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে অবৈধ মালপত্র আছে বলে দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গাড়িতে তুলে সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর শাপলা চত্বর, দোলাইরপাড় টোল প্লাজা, ধলেশ্বরী টোল প্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ ঘুরিয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে মাওয়ার দিকে চলে যায় মাইক্রোবাসটি।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই নোয়া গাড়িটি উদ্ধার করা হয় ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে। গাড়ির মালিক-ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় আসামিদের।

ডিবি প্রধান বলেন, এ চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে প্রাইভেট কার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। এরপর ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যক্তিদের টার্গেট করে চক্রটি। এরপর ওই ব্যক্তির পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে ব্যারিকেড দেয়। তখন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর ভিকটিমের সঙ্গে থাকা টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে ফেলে যায়। ###

Side banner