ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

কাশবনে নারীর লাশ: দুই দিনের মাথায় ‘রহস্য উদঘাটন’

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ১০:০৫ পিএম কাশবনে নারীর লাশ: দুই দিনের মাথায় ‘রহস্য উদঘাটন’

রাজধানী ঢাকায় দুদিন আগে এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার ‘রহস্য উদঘাটনের’ দাবি করেছে পুলিশ। তুরাগ এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী বিথী আক্তার ওরফে বিলকিসকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো- মো. বাবুল মিয়া ও তার সহযোগী মো. সম্রাট।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম। 

ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিথী আক্তার নিখোঁজ হন। তার মা মনোয়ারা বেগম এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুরাগ থানাধীন রাজউকের ১৭ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে কাশবনের মধ্যে একটি অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ পাওয়া যায়। মনোয়ারা বেগম সেখানে গিয়ে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনার পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 

তিনি বলেন, মামলার পর তুরাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সর্বশেষ শনিবার দুপুর ১টার দিকে পল্ল­বী থানা পুলিশের সহায়তায় মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিথীর স্বামী বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বিকালে মিরপুর-১২ কালাপানি এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম জানান, বিথী আক্তার ও তার স্বামী বাবুল প্রায় ছয় বছর ধরে দাম্পত্য কলহে ভুগছিলেন। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সুদের ঋণ। বাবুল ক্যান্টনমেন্টের ৭০৩ সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপে চাকরি করে মাসে প্রায় ৩১ হাজার টাকা বেতন পান, যার বেশির ভাগই সুদের টাকা দিতে খরচ হয়ে যেত। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো।

হত্যাকাণ্ডের পর সম্রাটকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবুল, যদিও তিনি জানান তার স্বল্প বেতনের কারণে সেই টাকা কিস্তিতে পরিশোধের কথা বলেছিলেন। কেন বাসার বাইরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন- সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। ডিসি জানান, বিথী আক্তার কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলেন বলে তার মায়ের কাছ থেকে জানা যায়। গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Side banner