ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

ভারত-চীনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ২০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব

দৈনিক নতুন সংবাদ আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম ভারত-চীনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ২০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব

ভারত ও চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত রপ্তানি আয় করতে পারে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজনে সংগঠনটির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সামষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন।

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

জাহিদ হোসেন বলেন, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ৫০ শতাংশ আর চীনের ওপর ৩০ শতাংশ। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশ। এতে অনুমান করা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ২২ শতাংশ ভারতে চলে যেতে পারে। পরে শুল্কহারের কারণে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ভারত সরকারের এক হিসাব অনুযায়ী, নতুন শুল্কহারের কারণে প্রায় ৪ হাজার ৮২০ কোটি ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দেশটির।

তিনি বলেন, অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে। কারণ, অস্থিতিশীলতার পেছনে যারা ছিলেন, তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। আর দেশ থেকে অর্থ পাচার কমেছে, ব্যাংক খাতে দুর্বৃত্তায়নও বন্ধ হয়েছে। নীতি পরিবর্তনের কোনো কৃতিত্ব নেই। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। নীতিতে শৃঙ্খলা এসেছে। তবে এর অর্থ এই না যে সরকার যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার সবকিছুই ঠিক।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এক বছরে হুন্ডি কমেছে, বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে। অন্যদিকে ব্যাংকের লুটপাট বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থার উন্নতি হয়নি, খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, সেগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির পক্ষে গেছে।

জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে আটকে পড়েছে। কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংক খাত, পদ্ধতিগত দুর্বলতা, শ্রমবাজারের উন্নয়ন না হওয়া ইত্যাদি।

Side banner