দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। নানান ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মূল্যায়ন হচ্ছে না। বেশ কিছু কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জ্ঞান অর্জনের চেয়ে সার্টিফিকেট অর্জনই ছাত্রদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে পড়ালেখায় মনোযোগ কমছে তাদের। এসব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি উপযুক্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাবৃত্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। সর্বোপরি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ি বিএআরসি অডিটরিয়ামে ‘নিড বেসজড এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: প্রবলেমস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ-ইআরআই উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস। এছাড়াও সেমিনারে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরআই সদস্যসচিব সৈয়দ রেজওয়ানুল কবীর।
অনুষ্ঠানে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা প্রকৃতই বর্তমান সময়ের চাহিদা। কর্মমুখী বিশেষায়িত শিক্ষাই দেশের বিপুল তরুণ প্রজন্মকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষার প্রতি সমাজের কোনো প্রকার অবজ্ঞা সমীচীন নয়। চাকরি, গবেষণা, প্রকৌশল, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি সব বিষয়েই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনেক কলেজে শিক্ষকদের কোনো ট্রেনিং নাই। অর্নাস-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের কোনো এমপিও নাই। ১৮/১৯ বছর তারা পড়াচ্ছেন কলেজে পাঁচ, সাত ও দশ হাজার টাকা বেতনে। আমরা অনেক দেনদরবার করে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষকের এমপিও দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস সংস্কার কাজে হাত দিয়েছি। এ সেমিস্টার থেকে আমরা রিভাইজড সিলেবাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি। ইংরেজি ও আইসিটিকে ম্যান্ডেটরি করে দিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :