ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে: হাঙ্গেরি

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেক্স রিপোর্টঃ আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১০:২৮ এএম ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে: হাঙ্গেরি
রোমানিয়ার বাইলে তুসনাদে জাতিগত হাঙ্গেরীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার দিন বালভানিওস সামার ইউনিভার্সিটিতে উপস্থিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ২৬ জুলাই ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) এ মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে অরবান এ মন্তব্য করলেন।

২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবান রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা ও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করে কিছু ইউরোপীয় নেতার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এদিকে তাঁর মন্ত্রিসভা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্যও লড়ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন অরবান। গত সোমবার(১১ আগষ্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি; যেখানে বলা হয়েছে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের তার স্বাধীনতা থাকা উচিত।

‘আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনো চলমান; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছেন। রাশিয়া এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে,’ প্যাট্রিয়ট ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন অরবান।

অরবান আরও বলেন, ‘এখন শুধু প্রশ্ন, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পক্ষে থাকা পশ্চিমারা স্বীকার করবে যে এটি ঘটে গেছে এবং এর ফলাফল কী হবে।’

হাঙ্গেরি তার জ্বালানির বেশির ভাগ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। দেশটি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন অরবান। তাঁর যুক্তি, এতে হাঙ্গেরির কৃষক ও বৃহত্তর অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে।

অরবান বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইউরোপ। এখন ইউরোপের ভবিষ্যৎ তার অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

‘আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তবে আপনি মেনুতে থাকবেন,’ বলেন ভিক্টর অরবান। ইউক্রেন নিয়ে ইইউর যৌথ বিবৃতির আংশিক বিরোধিতা করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, এতে ইউরোপকে ‘হাস্যকর ও করুণ’ দেখাচ্ছে।

রোমানিয়ার বাইলে তুসনাদে জাতিগত হাঙ্গেরীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার দিন বালভানিওস সামার ইউনিভার্সিটিতে উপস্থিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। 

রোমানিয়ার বাইলে তুসনাদে জাতিগত হাঙ্গেরীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার দিন বালভানিওস সামার ইউনিভার্সিটিতে উপস্থিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। 

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। গতকাল মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে অরবান এ মন্তব্য করলেন।

আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনো চলমান; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছেন। রাশিয়া এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে।
ভিক্টর অরবান, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবান রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা ও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করে কিছু ইউরোপীয় নেতার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এদিকে তাঁর মন্ত্রিসভা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্যও লড়ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন অরবান। সোমবার (১১ আগষ্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি; যেখানে বলা হয়েছে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের তার স্বাধীনতা থাকা উচিত।

‘আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনো চলমান; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছেন। রাশিয়া এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে,’ প্যাট্রিয়ট ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন অরবান।

অরবান আরও বলেন, ‘এখন শুধু প্রশ্ন, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পক্ষে থাকা পশ্চিমারা স্বীকার করবে যে এটি ঘটে গেছে এবং এর ফলাফল কী হবে।’

হাঙ্গেরি তার জ্বালানির বেশির ভাগ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। দেশটি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন অরবান। তাঁর যুক্তি, এতে হাঙ্গেরির কৃষক ও বৃহত্তর অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে।

সোমবার (১১ আগষ্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে অরবান এক যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি; যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের তার স্বাধীনতা থাকা উচিত।

অরবান বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইউরোপ। এখন ইউরোপের ভবিষ্যৎ তার অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

‘আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তবে আপনি মেনুতে থাকবেন,’ বলেন ভিক্টর অরবান। ইউক্রেন নিয়ে ইইউর যৌথ বিবৃতির আংশিক বিরোধিতা করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, এতে ইউরোপকে ‘হাস্যকর ও করুণ’ দেখাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি নয়, ইউক্রেনে নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন: জেলেনস্কি
‘আপনি মেনুতে থাকবেন’ বলতে অরবান বুঝিয়েছেন, আপনি আলোচনার অংশ না হয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে যাবেন; যেটা মোটেই ভালো নয়।

অরবান আরও বলেন, ‘যখন দুই নেতা—যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন, আর আপনাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না; তখন আপনি ফোনের জন্য হুড়োহুড়ি করবেন না, দৌড়াদৌড়ি করবেন না, বাইরে থেকে চিৎকারও করবেন না।’

এ বক্তব্যের মাধ্যমে অরবান বোঝাতে চাচ্ছেন, যদি বড় কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈঠকে (যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে) ইউরোপকে আমন্ত্রণই না জানানো হয়, তবে ইউরোপের কোনো ভূমিকা থাকবে না; বরং তারা শুধু সেই সিদ্ধান্তের শিকার হবে।


 

Side banner