ভোট গ্রহণের পর ৪১ ঘণ্টা পার হলেও এখনো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যে ২১টি হলের মধ্যে ১৬টিতে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা সম্পন্ন। চলছে আরও ৩ হলের ভোট গণনা। ফল ঘোষণায় অপেক্ষা বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সিদ্ধান্ত হয়, জনবল বাড়িয়ে রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণার। কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হলেও গণনা শেষ হয়নি। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি হলের মধ্যে ১৬টিতে ভোট গণনা শেষ হয়।
এদিকে, অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। তিনি ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাবি শাখার সভাপতি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। অনেক অভিযোগ উঠেছে। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হয়েছে যাতে আমি পদত্যাগ না করি। গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি। এখন পদত্যাগ না করলে পরে যদি অনিয়মের কথা বলি, তখন প্রশ্ন উঠবে কেন পদত্যাগ করিনি।
তবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এজিএস প্রার্থী ফেরদৌস আল হাসান তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, জাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী কমিশনারকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের ময়দান থেকে তিনি লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে তার যে হীন ষড়যন্ত্র ছিল, সেটি বাস্তবায়ন করতে না পেরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ করেন এই প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়।
সেদিন রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই ভোট গণনা শুরু হয়। ইতোমধ্যে গণনার কাজে পোলিং অফিসার বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :