ভারতের রাজনীতিতে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ, নির্ধারিত হচ্ছে দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ, সন্ধ্যা ছ’টা থেকে গণনা শুরু। রাত পোহানোর আগেই জানা যাবে কে বসছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতির আসনে।
সাবেক উপররাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের আকস্মিক অবসরের সিদ্ধান্তে দেশবাসী হতবাক হয়েছিল। এখন তার উত্তরসূরির লড়াইয়ে দুই শিবিরই সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। কিন্তু এবারের সমীকরণ বেশ জটিল। কারণ এনডিএ আর সেই আগের অবস্থানে নেই।
বিজেপির সংসদ সদস্য সংখ্যা নেমে এসেছে ২৩৫-এ। তাই শরিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন জোট। নীতীশ, নায়ডু, চিরাগ—যার সমর্থন মিলবে, তারাই নির্ধারণ করবেন ভাগ্য।
অন্যদিকে বিরোধীরা এই নির্বাচনে একাট্টা। ইন্ডিয়া জোট এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। কংগ্রেসের শক্তি দ্বিগুণ হয়েছে, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদীর সংখ্যাও বেড়েছে। তারা মনে করছে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ, এনডিএকে কড়া ধাক্কা দেওয়ার।
তবে রাজনীতির খেলা সবসময় সরল পথে চলে না। গোপন ব্যালট মানেই ক্রস ভোটের ঝুঁকি। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, কে কাকে ভোট দেবেন। এনডিএ এবং ইন্ডিয়া—দুই শিবিরই সংসদ সদস্যদের বারবার প্রশিক্ষণ দিয়ে সতর্ক করছে।
দক্ষিণী আবেগও এবার বড় ভূমিকা রাখছে। দু’পক্ষই দক্ষিণ ভারতীয় প্রার্থী দিয়েছে। যার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। এদিকে বিআরএস ও বিজেডি নির্বাচনের বাইরে থাকায় অঙ্ক আরও জটিল হয়ে গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এবারের ফলাফল একেবারে অঘটনের সম্ভাবনা তৈরি করছে। রাত নামলেই জানা যাবে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে কে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :