ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এই বিষয়টা এড্রেস করা দরকার।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘কথা ছিল ১০০ মিটারের ভেতরে কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেব না, কিছু দিতে পারবে না। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে অনেকে ফুল প্যানেলের প্রচারণা করছে, বিশেষ করে ছাত্রদল। তাদের জন্য যদি বৈধ করা হয় তাহলে অন্যরাও করতে পারতো।’
নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে।
এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বিকাল ৪টার মধ্যে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৪৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আছেন ১৯ জন প্রার্থী। মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন আর ১৮টি হল সংসদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি করে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪।
সব মিলিয়ে এবার একজন ভোটারকে ৪১টি করে ভোট দিতে হবে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ওএমআর ফরমে, ছয় পাতার ব্যালটে। এরপর ১৪টি গণনা মেশিনে ৮টি কেন্দ্রে হবে ফলাফল গণনা। ফলাফল ঘোষণা করা হবে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে। ভোটগণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে।
আপনার মতামত লিখুন :