বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) টি ২০ ফরম্যাটের দ্বিতীয় আসরের লোগো উন্মোচিত হয়েছে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে। আট দলের অধিনায়কের সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানালেন, এ টুর্নামেন্টে যেন ফিক্সিংয়ের মতো ভয়াবহ ব্যাধি বাসা বাঁধতে না পারে। অথচ, মঞ্চে ছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত রিপোর্টে নাম আসা একজন।
পরে আমিনুল জানান, তদন্তে নাম এলেও যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে তাদের বাইরে রাখার মতো অবস্থা নেই। স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় আগে থেকে কিছু করা সম্ভব নয়।
আমিনুল বলেন, ‘যে তদন্ত কমিটি ছিল সেখান থেকে সারসংক্ষেপ একটি রিপোর্ট পেয়েছি। তার আলোকেই আমরা আরেকটি কমিটি গঠন করছি। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে এগোনোর চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কিছু প্রমাণ আছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যেসব প্রক্রিয়া দরকার আমরা সেগুলোর মধ্যে যাচ্ছি। চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়া কাউকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না।’
ফিক্সিং নিয়ে তদন্তে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনই শক্ত অবস্থানে না যাওয়ার ব্যাখ্যায় আমিনুল বলেন, ‘এখানে এতটাই খারাপ অবস্থা যে, কোনো ভুল করা চলবে না। বিষয়টা নিয়ে আপনারাও সচেতন। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সম্মান রয়েছে। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হলে পরিপূর্ণ প্রমাণের ভিত্তিতে নিতে হবে। আপনারা সচেতন থাকলে, আমাদের যে নিয়ন্ত্রণ ক্রিকেটারদের এবং ম্যাচ অফিশিয়ালদের ওপর, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করলে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো কমিয়ে আনার জন্য আমরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে একটি ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। এখানে বোঝানো যে ধর্মীয় ব্যাপার, আইনি যে নির্দেশনা আছে এগুলো সামনে এনে সচেতনতা তৈরি করা। যেন দেশের ক্রিকেটকে আমরা নিষ্কলঙ্ক ও নিরাপদ রাখতে পারি।’
তদন্তে নাম এসেছে এমন একজন ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের লোক এনসিএলের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাদ রাখা যেত কি না? আমিনুল বলেন, ‘এই জিনিসটা এতটাই স্পর্শকাতর যে, চাইলেই কিছু করা যাবে না। যতদিন আমরা ফেয়ার খেলা উপহার দিতে না পারব ততদিন ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে না। আমাদের ক্রিকেটেরও উন্নতি হবে না।’
আল্-আরাফা ব্যাংক এনসিএল টি ২০ টুর্নামেন্ট তিনটি ভেন্যু বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্ট।
আপনার মতামত লিখুন :