ঢাকা বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া বিটিসিএলের

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম ১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া বিটিসিএলের

দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ প্রায় দুই কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। যা নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আইসিটি অধিশাখা এবং ১৯ আগস্ট কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (সমন্বয়, এপিএ ও আইসিটি) শাখা-২ থেকে প্রকাশিত দুটি স্মারকে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।

বৈঠকে জানানো হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে বিটিসিএল ২০২০ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় ১২১টি কারিগরি ও তিনটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওয়াই-ফাই চালুর উদ্যোগ নেয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সংযোগ দেওয়ার কথা ছিল।

তবে, আগস্ট ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সেবার বিপরীতে ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকার বিল জমা হয়েছে। বকেয়া বিলের বিষয়টি যাচাই করতে শিক্ষা বিভাগ গত ডিসেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ১২টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়।

সভায় বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, তাদের সংযোগ সচল থাকলে স্বল্প খরচে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। তবে বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসাপেক্ষ।

বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—

১. সংযোগ সচল থাকলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যমান হারে বিল পরিশোধ করবে।

২. নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রাখতে হবে— একটি বিটিসিএল, অন্যটি বিকল্প হিসেবে সরকারি বা বেসরকারি।

৩. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বিটিসিএল।

৪. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল সরাসরি তাদের কাছেই পাঠাতে হবে।

৫. এপি ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের রাউটার বা লোকাল নেটওয়ার্কে ব্যান্ডউইথ সংযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কত দিন সংযোগ সচল ছিল, তার হালনাগাদ তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিভাগে পাঠাতে হবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই বকেয়া বিল নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
 

Side banner