বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) পর্যটন বিকাশে ক্রুজ জাহাজ, প্যাডেল স্টিমার ও আধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এসব জাহাজ দিয়ে সমুদ্রযাত্রা, নদ-নদী, সুন্দরবন, হাওরাঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলের লেক-উপত্যকার নৌপথে পর্যটন কার্যক্রম চালানো হবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিসি সম্মেলন কক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সংস্থার চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহ। সভার শিরোনাম ছিল ‘সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত—আলোকিত সমুদ্রযাত্রা’।
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এবং নৌপর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত অংশীজনদের বিজনেস এই দুটিকে একত্রিত করে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে একদিকে জাতীয় সম্পদ জাহাজগুলোর ব্যবহার হবে অন্যদিকে নৌ পর্যটনে সংশ্লিষ্টগণও ব্যবসা বাণিজ্যে লাভবান হতে পারবেন। দেশের জনগণকে সেবা দেওয়ার সমন্বিত এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সুনাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়ন করা সম্ভব হবে।
সভায় অংশ নেন বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক এস এম সাজ্জাদুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার এ. এন. এম মোস্তাদুত দস্তগীর, ট্যুর অপারেটরস অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন, হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সেলস ম্যানেজার সালমান আহমেদ, রেডিসন ব্লুর সহকারী ম্যানেজার সেলস মাসুম ইবনে সাফিজ, গ্রিন হলিডে ট্যুরসের সিইও বোরহান উদ্দিন, গ্রিন চ্যানেলের পরিচালক জিল্লুর রহমান ও নিউ ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিকসের সিইও ইফতেখার আজম ভূঁইয়া।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস. এম. আশিকুজ্জামান। প্রশ্নের উত্তর দেন পরিচালক (অর্থ ও কারিগরি) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী, পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মু. নাসিম ও প্রধান প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম। প্রেজেন্টেশন দেন নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল আহসান শাওন। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক।
আপনার মতামত লিখুন :