নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের শতাধিক মানুষ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ।
উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের আগুয়ানদী, গরহরদী ও মরদাসাদী গ্রামের বাসিন্দারা টেঁটা, দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় দুই দিন আগে। সোমবার মরদাসাদী গ্রামের কয়েকজন আগুয়ানদী গ্রামের বাসিন্দা সাত্তারের বাড়ি দখল করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সাতজন আহত হন। এ ঘটনায় সাত্তারের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে আগুয়ানদী ও গরহরদী গ্রামের লোকজন একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে। সভায় মরদাসাদী গ্রামের ‘চোর-ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। খবরটি মরদাসাদী গ্রামে পৌঁছালে তারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে উচিৎপুরা বাজারে সমবেত হয়।
এক পর্যায়ে তিন গ্রামের শত শত মানুষ মুখোমুখি হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে স্থানীয় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত নামার পর অন্ধকারের কারণে সংঘর্ষ থেমে যায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, যে কোনো সময় আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাছির উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি ঘটনাস্থলে গেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :