সংশয়-শঙ্কা, কিছুই কাটছে না। যদিও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ছিল স্পষ্ট। ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন, ৫ আগস্ট এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার দপ্তর পরদিন নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে। এরপর থেকেই নির্বাচনী নানা আয়োজন। ইতোমধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, খসড়া ভোটার তালিকা, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনসহ নির্বাচনসক্রান্ত অনেকগুলো কার্যক্রম দৃশ্যমান করেছে ইসি। চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার কথা রয়েছে। ইসির বাইরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দফায় দফায় সভা করে নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা আশার বাণী শোনাচ্ছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর দিয়েই বলছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। এবারের নির্বাচনে ভোট-উৎসব হবে- এই আশার কথা শুনিয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টা।
কিন্তু এত এত আশার মধ্যেও নিরাশার কথা শোনা যাচ্ছে নানা মহল থেকেই। কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্লেষক, গবেষক ও রাজনীতিক সব পক্ষের একটি অংশই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে সংশয়ের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সঙ্গে আবার বাড়তি যোগ হয়েছে আরও একটি ‘এক-এগারো’ ফিরে আসার শঙ্কা। যে শঙ্কার কথা মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন সরকারেরই দায়িত্বশীল উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আলোচিত দল এনসিপির শীর্ষনেতা নাহিদ ইসলাম। কিংস পার্টি হিসেবে অভিযুক্ত দলের নেতা যখন এক-এগারো ফিরে আসার শঙ্কার কথা বলছেন, তখন অন্য শঙ্কার কথাও উঠে আসছে অন্য অনেক পক্ষ থেকে।
১৬ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়া দেশে আরেকটি বিপ্লব হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ঠিক এর আগের দিন ১৫ আগস্ট শঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার মত, নির্বাচনের ভোট গণনার আগ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। কয়েকদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস ভোটের সময়সীমার মধ্যেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছেন। বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমান প্রায়ই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলমান আছে এবং থাকবে বলে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেদিন ভোটের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, সেদিনই বলেছেন, ‘একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে উন্মুখ হয়ে আছে’। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন নিজে ফেব্রুয়ারির প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সমাধানযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
এসব সংশয়-শঙ্কা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেই গত কয়েকদিনে রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যের বিষয়টি প্রকটভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলের আস্থাহীনতা। কিছুটা বিস্ময়কর হলো, যাদের অনুরোধে প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যারা ছিলেন তার অন্যতম সমর্থকÑ সেই নেতারাই এখন তার নিরপেক্ষতা নিয়ে আঙুল তুলেছেন। ১৬ আগস্ট দলীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যতম দুই সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও হাসনাত আবদুল্লাহ অভিন্ন সুরে তীব্র ভাষায় ড. ইউনূসের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর অভিযোগ- ‘লন্ডনে সিজদা দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ঐকমত্য কমিশনও লন্ডন এবং গুলশানে সিজদা দিচ্ছে।’ পাটওয়ারীর মতে, দেশে সংকট নিরসন করতে একমাত্র সমাধান গণপরিষদ নির্বাচন। একই অনুষ্ঠানে এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘লন্ডনে গিয়ে একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সিজদা দিয়ে এসেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ওইদিনই তিনি লন্ডনে সরকারকে বেচে দিয়ে এসেছেন।’ হাসনাতের স্পষ্ট কথা, ‘নির্বাচন যখনই হোক, অবশ্যই সেটা গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।’ এসব বক্তব্যের কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্পষ্ট বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। সে সময় নির্বাচন হলে যারা শহীদ হয়ে কবরে আছেন, তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে।’ ওই অনুষ্ঠানেই রাজনৈতিক দলগুলোর একমত না হলে আরও একটি এক-এগারো ফিরে আসার শঙ্কার কথা বলেছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি নেতাদের এসব বক্তব্য নিঃসন্দেহে নির্বাচনী রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দল হলেও তারুণ্যনির্ভর এই দলটির নেতা-নেত্রীদের চলমান অবস্থান একেবারেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। দলটির কঠোর সমালোচকরাও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখনই এনসিপিকে গুরুত্বহীন ভাবার সাহস দেখাবে না। এনসিপি যদি শেষপর্যন্ত গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতেই অনড় থাকে এবং রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেয়, তাহলে নির্বাচনী পরিস্থিতি দিনে দিনে ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে বসে থাকবে না অন্যতম রাজনৈতিক দল জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে রাখলেও জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন এখনও পিআর (সংখ্যানুপাতিক) নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসেনি। ইতোমধ্যে নির্বাচনী সংস্কারসহ নানা বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে তাদের বিরোধের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে দলগুলোর পক্ষ থেকে। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের কয়েকদিন আগে দাবি করেছেন, দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাইলেও একটি দল জনগণের মতের বিপক্ষে। এই একটি দল বলতে তিনি যে বিএনপিকেই বুঝিয়েছেন, তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও। নির্বাচনী রাজনীতিতে জামায়াতের এই অবস্থানের পর বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা প্রকাশ্যে অত্যন্ত তীর্যক ভাষায় জামায়াতের সমালোচনা করছেন। একাত্তরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন। নির্বাচনকেন্দ্রিক এই রাজনীতির সংক্ষেপিত রূপ যা দাঁড়িয়েছে, তা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানপ্রশ্নে এখনও আশাবাদী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পক্ষান্তরে এখনও ভিন্ন মেরুতেই পড়ে আছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ সমমনা আরও কিছু রাজনৈতিক দল।
প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক অনৈক্যের এই পরিস্থিতিতে এনসিপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন যদি নিজেদের দাবিতে অটল থেকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে এবং রাজপথে আন্দোলনে নামে- তখন কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে। ভোট-উৎসবের আশা দেখানো ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী করবেন তখন। বিএনপি ও সমমনা অল্প কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ‘একতরফা’ নির্বাচনের কলঙ্ক ঘাড়ে নিয়ে তিনি কী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথেই হাঁটবেন। হাঁটতে গেলে দেশ যদি আবারও সংঘাতময় হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য কি তিনি আদৌ রাখেন। এতসব প্রশ্নের উত্তরে যেটা ধারণা করা যায়, তা কোনো পক্ষের জন্যই সুখকর নাও হতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। রাজনৈতিক সংঘাতের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে ব্যর্থতার জন্য জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আড়ালে চলে যেতে পারেন তিনি।
পরিস্থিতি যদি সত্যিই এমনভাবে দৃশ্যমান হয়, তখন কী ঘটতে পারে দেশে- তা নিয়েও নানা আলোচনা চলমান রয়েছে। আলোচনার অন্যতমই হচ্ছে আরও একটি এক-এগারো ফিরে আসার শঙ্কা। যেটা কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুধু নাহিদ কিংবা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমই নন, সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশও আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এক-এগারো ফিরে এলে কী কী হতে পারে, সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এদেশের মানুষের মনে এখনও গেঁথে রয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে, কী ঘটেছিল বহুল আলোচিত এক-এগারোর আগে-পরে, একটু ফিরে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক-এগারোতে ঘটেছিল অনেক কিছুই। যা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিকদেরও কল্পনার বাইরে ছিল। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির আগের কয়েক মাস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ঘোলাটে ও সংঘাতময়। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। বিরোধীপক্ষ ও বিদেশি কূটনীতিকদের প্রবল আপত্তির মধ্যেও ২২ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন শেষ করতে বদ্ধপরিকর ছিল তার নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। কিন্তু ১০ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ভোটের দিন ও আগের দিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেয় তারা। ঠিক একই দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে কুমিল্লা সফর করছিলেন। সংবাদকর্মী হিসেবে ওই নির্বাচনী প্রচারণার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলাম আমি নিজেও। সেদিন খালেদা জিয়া যেসব পথসভায় বক্তব্য দিয়েছেন, সবগুলোতেই তার বক্তব্য ছিল আত্মবিশ্বাসী। কুমিল্লার চান্দিনার পথসভায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘এই নির্বাচন যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের এমনভাবে প্রতিহত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আর ভোট চাওয়ার সাহসই তারা না পায়।’ কুমিল্লা থেকে ফিরতে ফিরতে গভীর রাত হয়েছিল। পরদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় ‘হাওয়া ভবনে’ বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাওয়া ভবনে আসতে পারেন, এমন খবর ছিল আমাদের কাছে। এর মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম আমাদের জানিয়েছিলেন, বিটিভিতে চোখ রাখার জন্য। ভেবেছিলাম ভালো কোনো খবর আছে। কিন্তু না, ইয়াজউদ্দিন জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। হঠাৎ এই ঘোষণা হাওয়া ভবনে উপস্থিত সংবাদকর্মীসহ বিএনপি নেতাদের কারও কাছেই প্রত্যাশিত ছিল না। এমন একটি পরিস্থিতি হতে পারে, ধারণাও ছিল না বিএনপির সর্বোচ্চ নেত্রীরও।
এক-এগারোতে জরুরি অবস্থার পর দেশে কী হয়েছে? ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারের শাসনকালে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে মাইনাসের চেষ্টা হয়েছে, দুই নেত্রীসহ শত শত রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা, গণমাধ্যমের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত অনেক রাজনীতিক। গণতন্ত্র থেকে দুই বছরের জন্য দূরে সরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর এতকিছুই হয়েছে বিরোধীমত উপেক্ষিত হওয়ার কারণে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যোর কারণে। উনিশ বছর পর এসে সেই এক-এগারোর শঙ্কাই যদি ঘুরেফিরে আসে, সেটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে লজ্জার। কথা উঠতে পারে, রাজপথের সংঘাতের কারণেই এসেছিল এক-এগারো। এখন তো সংঘাত নেই। উত্তরও আছে- দৃশ্যমান রক্তঝরা সংঘাত এখন নেই সত্যি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠবে না, সেই নিশ্চয়তাও নেই। একমাত্র রাজপথের সংঘাত ছাড়া এক-এগারোর বাকি আলামতগুলো কিন্তু পুরোপুরিভাবেই এখন দৃশ্যমান। সেই সময় বিএনপি ভেবেছিল, সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়াবে। একইভাবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পলাতক শেখ হাসিনাও সেনাবাহিনীকে পাশে পাওয়ার ব্যাপারে অতিবিশ্বাসী ছিলেন। পরিণতি সবারই জানা। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন শেষ করার বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার সরকারের পাশাপাশি প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যে যে অতিবিশ্বাস দৃশ্যমান, রাজনৈতিক সংঘাত হলে সেই বিশ্বাসই কাল হতে পারে উভয়পক্ষের জন্য। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সব পক্ষই।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
(নিবন্ধটি ১৯ আগস্ট প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত। সেখান থেকেই সংগৃহীত)
আপনার মতামত লিখুন :