ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নিয়ম ভঙ্গের। সে প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটা নাগাদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নয়টার ঠিক আগে তিনি গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে। সেখানে তাকে দেখা যায় জগন্নাথ হলের ভোটকেন্দ্রের সামনে।
তখনই অভিযোগ উঠে নিয়ম ভঙ্গের। তবে আবিদুল জানালেন, তিনি নিয়ম মেনেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকেছেন। তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোটকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হন তিনি। তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না।’
এর আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দীর্ঘ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি আশা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা দীর্ঘসময় ভোটাধিকার হরণ নিয়ে আমরা সংগ্রাম করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে যাচ্ছে আজকে।’
এরপর ডাকসুর ভোটারদের বিশেষ আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আপনারা কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে বাসায় বসে থাকবেন না। আপনারা আসুন, ভোটকেন্দ্রে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। আপনাদেরকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
তার আশা ডাকসুতে ভোটাররা নিজেদের বিবেক খাটিয়ে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আবিদুলের কথা, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাচ্ছি, একটা দীর্ঘ সময় পরে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ হচ্ছে। তারা তাদের বিবেককে খাটিয়ে যথাযোগ্য নেতৃত্বকে বেছে নেবেন। এটাই তাদের কাছে আকাঙ্ক্ষা।’
আপনার মতামত লিখুন :