ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও শিবিরের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই তারা নির্বাচনি কার্যক্রমে নির্ধারিত নিয়মকানুন উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার পরও মানা হচ্ছে না শৃঙ্খলা। কেন্দ্রের আশেপাশে যেকোনো প্রচারণা এবং ১০০ গজের মধ্যে স্লিপ বা টোকেন বিতরণের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তার কিছুই মানা হচ্ছে না।
কিছু কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, আচরণবিধি মানার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা না থাকলে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
এদিকে প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
নির্বাচনকালীন এই পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, ভোট শেষে ফলাফল যেন শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে ঘোষণা করা যায়, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ অভিযোগ করেছেন, দুই প্রধান ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নির্দিষ্ট নিয়মকানুন উপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল তো কোনো আচরণবিধির তোয়াক্কা করছে না। শিবিরের পক্ষ থেকেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ করলেও প্রশাসন কার্যত নির্বিকার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরও একই অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। তবে কয়েকজন প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনি শৃঙ্খলা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। ১০০ গজের মধ্যে স্লিপ বা টোকেন বিতরণ নিষিদ্ধ হলেও তা কার্যত মানা হচ্ছে না।
শুধু ছাত্রদল নয়, ছাত্রশিবিরও প্রচারণা চালাচ্ছে বলে কাদেরের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে লোকবল রাখতে চেয়েছিল, তা নজরে পড়েনি। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।’
আপনার মতামত লিখুন :