১৫-১৯ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে অনুষ্ঠিত হবে ১৭তম আইএসজিএফ এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওন গ্যাদারিং। বাংলাদেশ স্কাউট অ্যান্ড গাইড ফেলোশিপ থেকে ৩৪ জন এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ স্কাউট অ্যান্ড গাইড ফেলোশীপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪জন সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। ইতোপূর্বে কখনো এতজন বাংলাদেশ থেকে এশিয়ার সম্মেলনে যোগ দেয়নি। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠাতব্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যেও সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতি থাকবে বাংলাদেশের।’
এবার ইন্দোনেশিয়ার গ্যাদারিংয়ে (সম্মেলন) অংশগ্রহণ করছে– ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, চীন, জাপান, হংকং, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং ভ্রাতৃত্ব-সহযোগিতায় আরো অগ্রসর হচ্ছে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউট অ্যান্ড গাইড ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্কাউট অ্যান্ড গাইড ফেলোশিপের বৈশ্বিক সংগঠনের কমিটির মেয়াদ তিন বছরের। সে অনুসারে মহাদেশীয় ও জাতীয় কমিটিগুলোও তিন বছর মেয়াদি। তিন বছরের মধ্যে একবার মহাদেশীয় আরেকবার বৈশ্বিক সম্মেলন হয়। বাংলাদেশ ২০১২ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্মেলন আয়োজন করেছিল।
স্বেচ্ছাসেবী শৃঙ্খলা নির্ভর সংগঠন বাংলাদেশ স্কাউট। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠাতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ স্কাউট গাইড অ্যান্ড ফেলোশিপ সংগঠনকে বাংলাদেশস্থ ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসও সহযোগিতা করেছে। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্তরিক ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের কন্টিনজেন্টের ভিসার জন্য তিনি আলাদাভাবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাশাপাশি নির্ধারিত ফি’ থেকেও আমাদের ৫০ শতাংশ মওকুফের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য আমরা ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের কাছে কৃতজ্ঞ।
আজ সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের দু’জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুকুল আনোয়ারসহ আরো অনেক স্কাউট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :