বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ২০২৪ সালের জুলাই সনদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সেই ভিত্তিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে জেলা খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে সব অংশীজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবের সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে বাংলার মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়াই আমাদের সংগ্রাম।
তিনি সতর্ক করে বলেন, বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে এখানে শিকড় গাড়তে দেওয়া হবে না।
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষ কিভাবে গঠিত হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারেনি। যদি পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন না করা হয়, তবে তা শুধু ‘বেকার পুনর্বাসনের উচ্চকক্ষ’ হবে, যা খেলাফত মজলিস মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের রক্তদানকারী শহীদদের আত্মত্যাগের এত অল্প সময়ে অংশীজনদের মধ্যে বিভক্তি ও বিরোধ মানুষের কাম্য নয়। জুলাই সনদকে আগামীর বাংলাদেশের রোডম্যাপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ফারুক হাসান নদভী। এতে আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মুফতি শরাফত হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান এবং গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর এমএম রেজাউল করিম।
আপনার মতামত লিখুন :