ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান ভোগবাদী সমাজে অশ্লীলতা ও ভ্রান্ত ধারার বইপত্রের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে ইসলামী বইমেলা পাঠককে সত্য, ন্যায়, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধে আকৃষ্ট হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের পূর্ব গেটে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উপলক্ষে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বই জ্ঞান অর্জনের প্রধান মাধ্যম। জাতির চেতনা ও ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম হাতিয়ার বই। বই একটি জাতির চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম হাতিয়ার। আর বইমেলা হলো সেই জ্ঞানের ভাণ্ডারকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক মহতী আয়োজন। ইসলামী বইমেলা কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ ও নৈতিকতার প্রচার-প্রসারের কার্যকর ক্ষেত্র।
বইমেলার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের বইমেলা মুসলিম সমাজকে আলোকিত করতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে। এরূপ বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার আয়োজন নয়, এটি জ্ঞানচর্চা, নৈতিকতার প্রসার, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশ ও দাওয়াতি কাজের এক অনন্য ক্ষেত্রও বটে। এর মাধ্যমে সমাজে আলোকিত, নীতিবান ও দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করা সম্ভব। এ জাতীয় আয়োজন আরো বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, পুস্তক প্রকাশকদের মুখপাত্র আহমেদ রফিক বক্তৃতা করেন। এসময় বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ বইমেলায় ১৯৯টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা সংস্থা, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছেন। এ মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে মাসজুড়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টল, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে ইফা প্রকাশিত বই সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কমিশনে বিক্রয় করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :