Daily Natun Sangbad
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা পরিকল্পিত : মির্জা ফখরুল

দৈনিক নতুন সংবাদ | নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা পরিকল্পিত : মির্জা ফখরুল

বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে একে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শনিবার বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন এবং ন্যক্কারজনক। বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির কর্মসূচিতে সশস্ত্র এবং রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, হামলা, হুমকি-ধমকি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে আজ।

ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেপ্তার ও মামলার হিড়িক চালায় সরকার। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়ে আজ যখন দেখল সকালেই মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ কাকরাইল ছাড়িয়ে পশ্চিম পার্শ্বে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে, তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠি-অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকদের ওপর হামলা করে। তারা গুলি করতে করতে, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়তে ছুড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মীও আহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য গণমাধ্যমের কর্মীও। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পারাপার বন্ধ করে দিয়ে যখন সরকার আমাদের মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি, তারা যখন দেখছে বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে লাখ লাখ লোক যোগ দিয়েছে, তখন তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে। আমি বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাাচ্ছি। আটকদের মুক্তি দাবি করছি, আহতদের সুস্থতা কামনা করছি এবং আগামীকাল রোববারের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।###

Side banner