বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, বোর্ড বদলালেও কাজের ধরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি, বরং আগের আমলের মতোই চলছে সবকিছু। সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুজন এই মন্তব্য করেন।
গত বছরের জুলাইয়ের আন্দোলনের পর সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট পদত্যাগ করেন। এরপর ফারুক আহমেদ নতুন সভাপতি হন। চলতি বছরের ৩০ মে দায়িত্ব নেন সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
কিন্তু বোর্ডের নীতিনির্ধারণে হতাশা প্রকাশ করে সুজন বলেন, ‘ক্রিকেট স্বাভাবিকভাবে চলছে, জিতবে-হারবে—এটা খেলার অংশ। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি নতুন কিছু দেখছি না। মনে হচ্ছে এখনও পাপন ভাইয়ের আমলের মতোই চলছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোচ বা কিউরেটর নিয়োগ হচ্ছে, বদলও হচ্ছে—টনি হেমিংকে আগের বোর্ড যেমন এনেছিল, বর্তমান বোর্ডও এনেছে, গামিনীকে সরানো হয়েছে—এগুলো ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রকৃত উন্নয়ন কোথায়? এক বছরে তো নতুন কোনো ইনডোর সুবিধা বা মাঠ তৈরির প্রস্তাব আমি শুনিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুর্বাচলের মাঠও এখনো তৈরি হয়নি। শুধু মাঠ পরিদর্শন করা, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট করা বা ২৫ বছর উদযাপন করে উন্নতি আসবে না। এগুলো আসল কাজ নয়। কাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। আমরা কি ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের কোনো উদ্যোগ নিয়েছি?’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মিনি বিসিবি খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্য নিয়ে বিভাগগুলোতে সফরও করেছেন বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল।
তবে সুজন বলেন, ‘অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে হলেও কিছু চেষ্টা করা যেত। যেমন চট্টগ্রামে আক্রাম খান, রাজশাহীতে পাইলট, বরিশালে শাহরিয়ার নাফীস দায়িত্ব নিতে পারত। আমার বক্তব্য হলো, অস্থায়ী কমিটির মাধ্যমে হলেও বিকেন্দ্রীকরণ শুরু করা যেত, অন্তত এক-দুটি প্রকল্প হাতে নেয়া যেত। কিন্তু কিছুই হয়নি।’
আপনার মতামত লিখুন :