ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

জেলেনস্কি চাইলে ‘অবিলম্বেই’ যুদ্ধ শেষ করতে পারেন: ট্রাম্প

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:০৫ পিএম জেলেনস্কি চাইলে ‘অবিলম্বেই’ যুদ্ধ শেষ করতে পারেন: ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনকে সমঝোতায় রাজি করানোর চাপ আরও বাড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে ‘অবিলম্বেই’ এই যুদ্ধের ইতি টানতে পারেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ সফরের একদিন আগে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া ফেরত আনা এবং ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ—এসব কোনোভাবেই আলোচনার টেবিলে থাকবে না।

রোববার (১৭ আগস্ট) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অবিলম্বেই শেষ করতে পারেন, অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।  

তিনি লেখেন, মনে করে দেখুন, এই যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল। ওবামার সময়ে (১২ বছর আগে) একটিও গুলি ছোড়া ছাড়াই ক্রিমিয়া চলে গিয়েছিল রাশিয়ার হাতে! আর ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কিছু বিষয় কখনোই বদলায় না!!!

ইউরোপীয় নেতারা সোমবার (১৮ আগস্ট) জেলেনস্কিকে সঙ্গ দিতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। ব্রাসেলস ও কিয়েভে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন এক সমঝোতায় রাজি হতে পারেন যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অত্যধিক সুবিধাজনক হবে।

রোববার (১৭ আগস্ট) ট্রাম্পের মন্তব্যের কিছু পরেই জেলেনস্কি বলেন, অতীতে রাশিয়ার কাছে ছাড় দেওয়ার ফলেই পুতিন আরও যুদ্ধ করার সাহস পেয়েছেন।
 
যদিও ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সম্ভাব্য কোনো সমঝোতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কিছু জমি অদলবদল বা সীমানা পরিবর্তন থাকতে পারে, তবে জেলেনস্কি একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন—ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না।

ট্রাম্পের ওপর ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখার চাপ দিতেই সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

Side banner