ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

শান্তিরক্ষী মিশন থেকে কয়েক হাজার সেনাকে ফেরত পাঠাবে জাতিসংঘ

দৈনিক নতুন সংবাদ অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম শান্তিরক্ষী মিশন থেকে কয়েক হাজার সেনাকে ফেরত পাঠাবে জাতিসংঘ

অর্থ সংকটের কারণে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের শান্তিরক্ষা মিশনের পরিধি কমিয়ে আনবে জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে ৯টি শান্তিরক্ষী মিশন পরিচালনা করছে বৈশ্বিক এ সংস্থাটি।

 

জাতিসংঘের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) জানান, শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, “সবমিলিয়ে আমাদের ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষী পুলিশ ও সেনাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে তাদের যন্ত্রাংশ এবং বেসামরিক অনেক কর্মীও এ সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

২৫ শতাংশের অর্থ হলো প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার শান্তিরক্ষীকে নিজ দেশে চলে যেতে হবে।

শান্তিরক্ষা মিশনের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ অবদান রাখে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রয়েছে চীনের। দেশটি জাতিসংঘের মিশনের ২৪ শতাংশ অর্থ দেয়। অর্থনীতির পরিধি অনুযায়ী বিশ্বের সব দেশ জাতিসংঘের মিশনে অর্থ দিতে বাধ্য। যেহেতু এ দুটি দেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাই তারা শান্তিরক্ষী মিশনেও বেশি অর্থায়ন করে থাকে।

অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১ জুলাই নতুন অর্থ বছর শুরু হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাতিসংঘ ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল। এখন নতুন করে পাওনা বেড়েছে আরও ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ফলে সবমিলিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাতিসংঘ ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার পাবে।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সংস্থাটিকে জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই তারা ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পাওনা শোধ করবে। তবে জাতিসংঘের মার্কিন মিশন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত আগস্টে একতরফাভাবে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার বাতিল করেন। এই অর্থ ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।

অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ২০২৬ সালের জাতিসংঘর শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউজ বলেছে, মালি, লেবানন এবং কঙ্গোতে এসব মিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বাতিলের কারণে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ওয়েস্টার্ন সাহারা, ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যবর্তী গোলান মালভূমি এবং আবেঈতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Side banner