ঢাকা শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২

এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ের পর বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে আক্ষেপ রশিদের

দৈনিক নতুন সংবাদ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০১:২১ পিএম এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ের পর বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে আক্ষেপ রশিদের

মহাদেশীয় কিংবা আইসিসির মেগা ইভেন্ট, কোথাও–ই আফগানিস্তানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। রশিদ-গুরবাজরা মাঠের খেলায় সেই অবস্থানটা তৈরি করে নিয়েছে। তবে এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপপর্ব থেকেই হতাশার বিদায় হয়েছে তাদের। এরপর শ্রীলঙ্কার কাছে হারের নেপথ্যের ভুল-ত্রুটি তো স্বীকার করেছেন–ই, বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়েও আক্ষেপ ঝরেছে রশিদ খানের কণ্ঠে।

 

আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান। মাত্র ২২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মোহাম্মদ নবি। জবাবে ঝড় তোলেন কুশল মেন্ডিস। ৫২ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনি যেন সব আলো কেড়ে নিলেন। সেই সঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করলেন। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে গ্রুপপর্বে অপরাজিত থাকল দলটি।

ব্যাটিংয়ের শেষটা কাঙ্ক্ষিত হলেও, নিজেদের বোলিং আশানুরূপ হয়নি বলে মনে করেন আফগান অধিনায়ক রশিদ, ‘আমরা যেভাবে ইনিংস শেষ করেছি তা খুবই বিশেষ। আমরা জানতাম স্পিনারদের এক ওভার বাকি, ওই সময়ে একজন ভালো ব্যাটার থাকলে বড় কিছু করার সুযোগ আছে। তবে আমরা ভালো বোলিং করিনি, যার জন্য জিততেও পারিনি ম্যাচে। এটি স্পিনিং উইকেট নয়, দুবাইয়ের চেয়ে ভিন্ন। ভালো ক্রিকেটিং শট খেলতে পারলে ১৭০-১৮০ রান তাড়া করা সম্ভব।’

এর আগের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারায় সুপার ফোরে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে যায় আফগানিস্তানের। তবে তারা সেদিন ১৫৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিতের পর সেই ম্যাচ নিয়ে আক্ষেপ করলেন রশিদ, ‘শেষ ম্যাচে আমাদের অনেক বড় সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা ১৫০ (মূলত ১৫৫) রান চেজ করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটা ঘটে। তবে আমাদের সামনে এগোতে হবে, যাতে একই ভুলের আর পুনরাবৃত্তি না হয়।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের উত্থানটা নজরকাড়া। এবারও পুরো প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছিল দলটি। তবে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ রশিদ খান, ‘গত তিন বছরে আমরা অনেক আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপ খেলেছি। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই ভালো প্রস্তুতি ছিল, তবে আমার সতীর্থদের কাছে প্রত্যাশা ছিল আরও বড়। এই অবস্থানে থেকে বিদায় নেওয়াটা অপ্রত্যাশিত।’

‘গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছি, এখানেও (এশিয়া কাপে) অন্তত পরের পর্বে যাওয়ার আশা ছিল। আমরা আমাদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে ভাবব, বিশ্লেষণ করব এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’, আরও যোগ করেন এই তারকা অলরাউন্ডার। 

আফগানরা এবারের এশিয়া কাপ শুরু করেছিল হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে। যা তাদের নেট রানরেটেও অনেক এগিয়ে রেখে। ফলে বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট পেলেও সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যেত রশিদের দলের। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচেই হেরে আফগানিস্তানের এশিয়া কাপের যাত্রা এখানেই থেমে গেল।

Side banner