সিলেটের ওসমানীনগরে দাফনের ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) নবিগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। পরে জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক।
উদ্ধার রবিউল ইসলাম নাঈম উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামের কণাই মিয়ার ছেলে।
এদিকে উদ্ধার নাঈম হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন প্রধান আসামি বগুড়ার শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী বুলবুল ফকির।
জানা যায়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় বুলবুল ফকিরের রেস্টুরেন্টে কাজ করতো নাঈম। গত ২৪ জুলাই হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সে। নাঈমের মা ছেলেকে নিখোঁজ উল্লেখ করে ওসমনীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার হয়। লাশটি নাঈমের বলে চিহ্নিত করে ৫ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় নাঈমের পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বুলবুল ফকিরকে আসামি করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান শনিবার নাঈমের আত্মীয় মো. জুবেলের বাড়ি থেকে নাঈমকে উদ্ধার করেন।
এসআই মুস্তাফিজ বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে কিশোর নাঈমকে তার আত্মীয় জুবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করার পর জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরের মা এবং মামা আদালতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে নাঈমের পরিবারের একাধিক সদস্যের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :