দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ চার মাস পর অবশেষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রথম চালানে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে মোট ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল দেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, চালবাহী আরও কয়েকটি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোলে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এ চালান দ্রুত ছাড়া হলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দামের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন তারা। তবে উচ্চ শুল্কহার না কমানোয় আমদানির পরিমাণ সীমিত থাকার শঙ্কাও রয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর নতুন এ চালান আসায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার পর দ্রুত ছাড়পত্র প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের ৯টি ট্রাক কয়েকদিন ধরে ভারতের পেট্রাপোলে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত থেকে তা বেনাপোলে প্রবেশ করেছে। আরও কয়েকটি ট্রাক এখনো অপেক্ষমাণ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। ইতেমধ্যে নতুন চালান আসতে শুরু করেছে। রোববার থেকে আরও চাল দেশে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২,৫৮৪ শতাংশ। গত বছর যেখানে আমদানি হয়েছিল মাত্র ২৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চাল, সেখানে এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৬৮২.৪ মিলিয়ন ডলারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে এবং দামের চাপ অনেকটাই কমবে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে মোট ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল দেশে প্রবেশ করেছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে দ্রুত চাল বাজারে সরবরাহ করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :