নেপালের ধাদিং জেলা কারাগার থেকে বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এ সময় দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান জেলা কর্মকর্তা বিজয়রাজ সুবেদি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘সেতুপতি’ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছ।
নিহতরা হলেন ধাদিংয়ের বেনিঘাট রোরাং-৪ এলাকার ৭৫ বছর বয়সি জিতবাহাদুর ঘলে এবং নওয়ালপরাসি পশ্চিমের সুনওয়াল-১২ এলাকার ৩৬ বছর বয়সী ইন্দ্রবাহাদুর দালা।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনায় অন্তত সাতজন বন্দি আহত হয়েছেন। তারা মানব পাচার, ধর্ষণ এবং মাদক মামলায় সাজা ভোগ করছিলেন। আহতদের বুধবারই চিকিৎসার জন্য কাঠমান্ডু পাঠানো হয়েছে।
গুলির ঘটনা ঘটে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটা নাগাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকেই বন্দিরা কারাগারের ভেতরে স্লোগান দিচ্ছিল এবং ভাঙচুর শুরু করে। পরে তারা অগ্নিসংযোগ করলে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্দিরা কারাগারের ভেতরে কাজের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের আক্রমণের চেষ্টা চালায়। এমনকি কারাগারের তালাও ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা সুবেদি জানান, বন্দিরা দাবি করেছিল—যেহেতু কাঠমান্ডুতে রবি লামিছানেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাই তাদেরও ছেড়ে দিতে হবে। ‘তাদের দাবি ছিল, রভিকে হয় ধাদিং নিয়ে এসে এখানে আটকাতে হবে, না হলে আমাদেরও মুক্তি দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা উত্তেজনা চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পানি ছিটানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হলে বিকালে সেনারা গুলি চালায়।
বর্তমানে কারাগার এলাকাটি সেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সুবেদি।
আপনার মতামত লিখুন :