নেপালে বিক্ষোভকারীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি, লুটপাট ও সরকারি-বেসরকারি ভবনে আগুন দিচ্ছে উল্লেখ করে একটি বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সেনাবাহিনীসহ সমস্ত নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনাবাহিনী বলেছে, আমরা সকল নাগরিককে এই প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য আবেদন করছি। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পরে আরও আপডেট জানানো হবে।
নেপালের স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর এ পদক্ষেপ কার্যকর হবে বলে জানায় সেনাবাহিনী। তবে কীভাবে তা বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। খবর বিবিসির।
এদিকে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিক্ষোভকারীদের সংলাপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি জানান, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রাণ ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরও সহিংসতা এড়াতে বিক্ষোভকারীদের সংযম দেখানোর আহ্বান জানান অশোক।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করা এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো আমাদের সবার যৌথ দায়িত্ব।
বর্তমান পরিস্থিতিকে তিনি ‘একটি অস্বস্তিকর অবস্থা’ বর্ণনা করে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন। একইসঙ্গে তিনি চলমান বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
নেপাল সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রাস্তার নামে জেন-জি হিসেবে পরিচিত দেশটির তরুণ প্রজন্ম, পরে এতে যোগ দেয় সর্বস্তরের নাগরিকরাও। বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। অনেকটা বাংলাদেশ স্টাইলে পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি স্থাপনার দখল নেয় বিক্ষোভকারীরা। ইতোমধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন।
পিডিএস/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :