ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

ইথিক্যাল জার্নালিজম চাই : প্রেস সচিব

দৈনিক নতুন সংবাদ | ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকাঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম ইথিক্যাল জার্নালিজম চাই : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা ইথিক্যাল জার্নালিজম চাই। দেখা যাচ্ছে যে এই জার্নালিজমটা অনেকাংশে করা সম্ভব হয় না, যদি আপনি একজন সাংবাদিককে ১০ হাজার, ৫ হাজার টাকা বেতন দেন। এটা তো সম্ভব না। পুরো পৃথিবীতে আমার মনে হয় জার্নালিজমের সুরক্ষার বিষয়টি একটা বড় ব্যাপার। সেই জায়গাটিতে আমরা যেতে চাই।

রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, যেসব তরুণ সাংবাদিক পেশায় যোগ দিচ্ছেন, তারা যেন একটি সম্মানজনক বেতন পান, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মানজনক বেতন না পেলে যেটা হয় যে এক ধরনের লেজিটভিত্তিক (অবৈধ) সাংবাদিক সমাজ তৈরি হবে না। আর তা না হলে রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক সরকারগুলো তখন সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের নেতারা আমাদের বিক্রি করে দেন, পূর্বাচলে একটি প্লট নেন। এভাবে বছরের পর বছর এই নেতারা আমাদেরকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু দেখা যায়, একজন সাধারণ সাংবাদিক যিনি এটাকে খুব সম্মানজনক পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষকে তথ্য জানানোর যে দায়িত্ব, এটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য এর চেয়ে বড় দায়িত্ব খুব কম আছে। আপনার তথ্যের উপরে দেশের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে। আপনি একটা ভুল তথ্য দিলে দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়।

প্রেস সচিব বলেন, যে ছেলেটা আজকে জার্নালিজম পেশাকে বেছে নিল, সে যেন একটি মৌলিক ন্যূনতম ভালো বেতন পায়। যাতে তাকে কেউ কিনতে না পারে, তাকে যেন একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলতে না পারে তুমি এভাবে নিউজটা করো। আমরা চাই ভালো, নির্ভীক জার্নালিজম, যে জার্নালিজম সমাজকে আরও এগিয়ে নিবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে আছে, যারা নিউজ চুরি করে—  একদম সোজা বাংলায় বলা যায় এরা চোর। অন্যদের নিউজ কপি-পেস্ট করে। এটা তো আমরা চাই না। সাংবাদিক অবশ্যই সে তার নিজস্ব প্রচেষ্টা দিয়ে একটা রিপোর্ট করবে। এই রিপোর্টটা করার জন্য যে মেহনত, খাটনি দরকার, সে করবে। আর সেটার তো আমাদের দাম দিতে হবে। সেই দামটা দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাঙের ছাতার মতো ওয়েবসাইটগুলো হচ্ছে, যারা কপিরাইট লঙ্ঘন করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেও দেখা যায় যে একটি গ্রুপ দাঁড়িয়ে যায়। বলে, দেশে এই সরকার ফ্রিডম অব স্পিচ (বাক-স্বাধীনতায়) বিশ্বাস করে না। সেজন্য সাংবাদিকদের মৌলিক বেতনটা বাড়ানো খুবই জরুরি।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

Side banner